জয় মহন্ত অলক, ঠাকুরগাঁও : ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরইমধ্যে জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত শহরের অর্ধ শতাধিক মার্কেট ও ফুটপাতের সবগুলো দোকানই ক্রেতায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কারোরিই যেনো দম ফেলানোর ফুসরত নেই।
শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুড়ে দেখা যায়, এবারের ঈদ বাজার ইতোমধ্যে পুরোপুরি জমে উঠেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে। ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তা, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, রোডে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের উচ্ছাস এবং আনন্দের কথা।
ঈদ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও শহরের সুপার মার্কেট, শপিং মল, বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত সকলেই ছুটছেন প্রিয় পোশাকটি কেনার জন্য। এসব দোকানে ঈদের নতুন নতুন কালেকশন মেয়েদের বিভিন্ন ড্রেস, শাড়ি ও লুঙ্গি, বাচ্চাদের কাপড়, পাঞ্জাবী, শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদি বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রতিটি মার্কেটে দু’ধাপে বিক্রি হচ্ছে। দিনের প্রায় পুরো সময়টা গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা বাজার দখল করে রাখে। স্থানীয়রা কিংবা ঈদবাজারের আশপাশে থাকেন তারা মার্কেটে আসেন সন্ধ্যার পর। যার কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের ঈদ বাজারে দিনে ও রাতে সমানতালে বিক্রি চলছে।
অন্যদিকে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্ন আয়ের মানুষেরাও পিছিয়ে নেই ঈদের কেনাকাটায়। উচ্চ আয়ের মানুষদের মতো বিভিন্ন নামিদামি মার্কেট, শপিংমল থেকে ঈদের কাপড়সহ ঈদ সামগ্রী ক্রয় করতে না পারলেও এই গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর একমাত্র ভরসা হকার্স মার্কেট, কাচারি বাজার কিংবা ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকানগুলো।
ঈদের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, নিজের পোশাক কিনতে এসেছি, ‘সামনে ভিড় আরো বাড়বে, তখন দেখা যাবে প্রয়োজনীয় পোশাক ভালো করে দেখেও কেনার সুযোগ থাকবে না। তাই চাপ বাড়ার আগেই আমি আমার পরিবারসহ কেনাকাটা করতে আসলাম। অনেকগুলো দোকান ঘুরে কিছু কিনেছি, আরো কিছু কিনব বলে জানান ক্রেতারা।’
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সময়টিতে বিভিন্ন ক্রেতারা এখন ঈদ মার্কেটে ভিড় করছে বেশি। গার্মেন্টস্ আইটেম, কাটা কাপড়ের দোকান আর কাপড়ের দোকানগুলোতে পুরোপুরি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন টেইলার্সের কারীগররা যেন দম ফেলানোর মতো সময়ই পাচ্ছেন না তারা। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।