মো:রাহাত রাজা, সাতক্ষীরা : এক সময় বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে চাষ হতো মাল্টা। কিন্তু বর্তমানে ফলটি আর পাহাড়ে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের সমতল ভূমিতেও মাল্টার চাষ করে সফলতা পেয়েছে সাতক্ষীরার শিক্ষক শামছুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন-উৎপাদন খরচ কম ও স্বাদ ও ঘ্রানে অতুলণীয় হওয়ায় বাণির্জ্যকি ভাবে চাষের সম্ভাবনার কথা। তবে সংশিষ্টরা বলছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উৎপাদিত মাল্টার পুষ্টি ও গুনগত মান আমদানি করা মাল্টার চেয়ে বেশি। এছাড়া আবহাওয়া ও মাটির গুনাগুন অনুকুলে থাকায় এই অঞ্চলে রয়েছে মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা।
উচ্চ ফলনশীল ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ মাল্টা ফল দেখতে আকর্ষনীয় সবুজ এবং খেতে সুস্বাদু। দেখতে অনেকটা লেবু গাছের মত। এমন গাছে ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা। গাড়ো সবুজ মাল্টা গুলোয় যেনো লেগেছে হলুদ রং। কেবল দেখতেই শোভানয়,মাল্টা গুলোর স্বাদও বেশ মিষ্টি। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উলুডাঙ্গা গ্রামে সর্ব প্রথম ২০১৬ সালে—তিন বিঘা জমি লীজ নিয়ে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করেন শিক্ষক শামছুর রহমান। প্রথম দিকে অল্প হলেও সঠিক পরিচর্যা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে এসেছে কাঙ্খিত ফল। বর্তমানে তার সাড়ে ৪ শত গাছে মাল্টা ধরেছে যা জেলার বিভিন্ন বাজারে ও ঢাকাসহ আশপাশের জেলাতে রপ্তানি করা হচ্ছে। অনান্য ফসলের তুলনায় মাল্টা চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি বলে জানিয়েছেন সফল এই মাল্টা চাষী।
শিক্ষক শামছুর রহমানের মাল্টা চাষে সফলতা দেখে ওই এলাকায় অনেকেই শুরু করেছে মাল্টার চাষ। তার মাল্টা বাগানে কাজ করে এলাকার অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো ভাবেই সংসার পরিচালনা করছে।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষিবিদ মো: আমজাদ হোসেন বলেন আবহাওয়া ও মাটির গুনাগুন অনুকুলে থাকায় এই অঞ্চলে মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা। সাতক্ষীরার কলারোয়ার শামছুর রহমান সহ জেলার অনেকেই মাল্টা চাষ শুরু করেছে আমরা কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি এবং ভবিষৎতে কৃষকদের নিয়ে মাল্টা চাষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হবে।