দাবীকৃত চাঁদা আদায় না পাওয়ায় ইট ভাটা বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউপি সদস্য

প্রকাশঃ ২০১৮-১১-২১ - ১৭:৫৮

রবিউল ইসলাম রবি, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি খালের ওপারে এবং কাকশিয়ালী ও হাওড়া নদীর মিলনাস্থলে সম্পূর্ণ নির্জন পরিবেশে ভাটা তৈরি করেছে মধ্যবিত্ত পরিবারের কয়েকজন ব্যক্তি মিলে যারা হলো আব্দুস সাত্তার খান, আব্দুল লতিফ মোড়ল, প্রফেসর আব্দুর রহমান, রউফ মেম্বর আফছার গাজী, ফেরদৌস, সিরাজুলসহ আরো অনেকে একতা ব্রিকস নামে একটি ভাটা করেছে। ২০/১১/১৮ তারিখ সরেজমিনে ভাটা পরিদর্শন করে জানা যায়, ভাটার উত্তরে প্রায় ৪ কিলোমিটার, দক্ষিণে প্রায় ৯ কিলোমিটার, পূর্বে প্রায় ৫ কিলোমিটার ও পশ্চিমে প্রায় ৪ কিলোমিটারের মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ও লোকালয় নাই। এতদসত্তে¡ও কালিগঞ্জের রাজাপুরের প্রাক্তন মেম্বর রইসুল ইসলাম ভাটা বন্ধের জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে এখন সচেতন মহলের মনে প্রশ্ন জেগেছে, যেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে কোন মাথা ঘামাচ্ছেন না সেখানে ইউপি সদস্য ভাটা বন্ধের জন্য কি ধরনের লাভবান হচ্ছেন সেটি এখন বড় প্রশ্ন। বর্তমান চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আব্দুস সাত্তার খান বর্তমান ভাটা মালিক এই প্রতিবেদককে জানায়, রইসুল মেম্বর আমার কাছে ভাটার কিছু অভিযোগ তুলে ধরে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। যার সাক্ষী আছে সিরাজুল, হাফিজুল ও আফছার। এদের সামনে আমার নিকট ২লক্ষ টাকা চাঁদা চায় রইসুল মেম্বর। আর আমাকে জানায় যদি আমি টাকা না পাই তাহলে তোর ভাটা তুই কিভাবে চালাস? আমি দেখব। পরবর্তীতে আমি তাকে টাকা না দেওয়ায় সে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। সর্বশেষ সাংবাদিক ভাইদের কাছে অভিযোগ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। শুধু এখানেই শেষ নয়। এই রইসুল মেম্বর, মেম্বর থাকাকালীন সময় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে, চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আয় করেছে। তার ছেলের নাম নাহিদ হাসান। নাহিদ হাসানের বিবাহের পর কন্যা পক্ষের নিকট থেকে গাড়ী, ফার্নিসারসহ মোট ৫লক্ষ টাকা নেয়। আরও বেশি যৌতুকের টাকা চেয়ে তার পুত্রবধূকে অত্যাচার করলে একপর্যায়ে পুত্রবধূ সহ্য করতে না পেরে রইসুল মেম্বর ও তার ছেলের নামে আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত রইসুল মেম্বরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা কালে বিজ্ঞ আদালত তাকে ৩লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। এই টাকা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট দিন তারিখ ধার্য করা হয়। টাকা পরিশোধ করার জন্য রইসুল মেম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আব্দুস সাত্তার খান ভাটা মালিকের কাছে যায় এবং ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এছাড়া জমি দেওয়ার নাম করে তার আপন ভাই খোকনের নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা নেয়। পরে জমি দেয়নি তার জন্য কোর্টে মামলা চলছে। আরো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে রইসুল মেম্বরের বিরুদ্ধে। পরিতাপের বিষয় হলো সাতক্ষীরা জেলায় ১৮৮টি ইট ভাটা চলছে। আমার ভাটা নদীর পাড়ে ফসলহীন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানহীন জায়গায় করা। আমার ভাটা বন্ধ করার জন্য এখন রইসুল মেম্বর উঠেপড়ে লেগে গেছে এমনটাই জানান ভাটা মালিক আব্দুস সাত্তার খান। আমি আমার ভাটাটি পরিচালনা করতে চাই। আমি চাই না আমার দ্বারা জনগনের কোন রাস্তা নষ্ট হোক। এপর্যন্ত যেখানে রাস্তা একটু গর্ত হয়ে গেছে সাথে সাথে আমি ইট খোয়া দিয়ে ভরাট করে দিয়েছি। আমি প্রতিহিংসা থেকে বাঁচতে চাই। আমার ভাটাটি পরিচালনা করতে চাই। এ বিষয়ে অভিযোগকারী রইসুল ইসলামের সাথে জানার জন্য ফোন করলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ভাই এখন কিছু লিখেন না। দুটো একটা দিন দেরি করেন আপনি লাভবান হবেন। আপনার সুবিধার্থে এই ম্যাসেজটি দিলাম।