স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের সুযোগ নেই

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-০৮ - ২০:৩২

ঢাকা অফিস :  বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই; বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘রাজনীতির কবি অমর কবিতা’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর অনুষ্ঠিত সেমিনারে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট আয়োজিত এ সেমিনারের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৪৮ বছর ধরে যখনই এ ভাষণ শুনি, তখনই মনে হয় নতুন কিছু শুনছি। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নতুন করে কাজের প্রেরণা যোগায়।’

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম এ ভাষণ থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার প্রেরণা পাবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তাদের মধ্যে দেশকে ভালোবাসার শক্তি যোগাবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মুক্তিকামী সকল মানুষের অনুপ্রেরণা ছিলো ৭ই মার্চের ভাষণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ এখনও সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে উজ্জীবিত করে। ১৯৭১ সালে যে গেরিলা যুদ্ধ হয়েছিলো তার রুপরেখা এ ভাষণের মধ্যে দিয়েই তুলে ধরেছিলেন জাতির জনক।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল  উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ই মার্চের এ ভাষণেই ছিলো স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা, আর ছিলো যুদ্ধের প্রস্তুতি। অথচ গণমাধ্যমের টকশোগুলোতে ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে কেমন অর্বাচীনের মতো কথা বলছেন কোন কোন আলোচক।’

‘আত্মত্যাগ না করলে কখনও কোন অর্জন সম্ভব নয় এ আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন বঙ্গবন্ধু’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক ছিলেন সত্যিকারের আত্মত্যাগী একজন নেতা, আর তাই তিনি শুধু নিজের কথা ভাবেননি, দেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারলেন, দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলেন সেটাই ভেবেছেন।’

বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ব নেতা ছিলেন জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে তিনি শুধু আমাদের দেশের মানুষের কথাই না, সারা বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানষের কথা তুলে ধরেছেন।’

শেখ হাসিনা তার মা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবের আবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমার মা আমার বাবার সত্যিকারের সাথী ছিলেন। বাবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সবসময় সহযোগিতা করেছেন, আন্দোলন সংগ্রামে পাশে থেকেছেন।’