তৃতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় নির্বাচন রবিবার

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-২৩ - ২১:৫৫

ঢাকা অফিস : রবিবার তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন। মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রচার-প্রচারণা। এরই মধ্যে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি শেষ। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ৩২ জন।

এছাড়া, ৬টি উপজেলার সব পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হচ্ছে ১১৭টি উপজেলায়। এরমধ্যে চারটি উপজেলায় ভোটাভুটি হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। এদিকে, ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর দায়িত্ব কমিশনের নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিইসি।

ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না আসতে উদ্বুদ্ধ করার মধ্য দিয়েই শেষ হয় দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচন। ফলে প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হারও ছিল কিছুটা কম।

তৃতীয় ধাপে ১২৭ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হলেও নরসিংদী ও কক্সবাজার সদর উপজেলা চতুর্থ ধাপে যুক্ত এবং আদালতের নির্দেশে লোহাগাড়া এবং কুতুবদিয়ার নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় এখন ভোটাভুটি হবে ১২৩ উপজেলায়।

তবে গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, শিবচর, ভেদরগঞ্জ, পলাশ এবং আনোয়ারা উপজেলার সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হচ্ছে ১১৯টিতে। আর ১৩ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ৩৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান।

ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার একশ ৪৮ জন ভোটারের ৯ হাজার সাতশ ৫৯টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

১১৯টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৪৯ প্রার্থী। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯২ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৪০২ জন প্রার্থী।

এদিকে, নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব ধরণের প্রস্তুতি রেখেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা ইসির দায়িত্ব না, বলে সাফ জানিয়েছেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘আমরা ভোটারদের আশ্বস্ত করেছি যে ভোটকেন্দ্রে আপনাদের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে। তারপরও যদি ভোটাররা ভোট দিতে না আসে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা প্রার্থীদের কাজ।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, আনসার, বিজিবির, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় ম্যাজিষ্ট্রেট থাকছেন। এদিকে ২৩ মার্চ রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘন্টা নির্বাচনি এলাকায় যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসি।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ১৪ জেলার ২৮ উপজেলায় বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিকালে আগারগাঁওয়ে কমিশন সচিবালয়ে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।

তিনি জানান, যেসব এলাকায় সংসদ সদস্যরা প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন তাদেরও এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অনিয়মের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে নয় ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। এদিকে তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ৪টি সদর উপজেলায় ইভিএম ব্যাবহার করা হবে বলেও জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।

হেলালুদ্দিন আহমদ জানান, ‘যেখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী বা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। ওই সমস্ত উপজেলা থেকে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইসঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর সে সমস্ত উপজেলাতে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য যারা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন তাদেরকেও আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তা হিসেবে এলাকা ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি’