ঢাকা অফিস : মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে শোকজ বা কারণ দর্শনানোর নোটিশ থেকে সরে এসেছে আওয়ামী লীগ। উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করা এসব এমপি- মন্ত্রী দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় তাৎক্ষণিক সিদ্বান্ত নিচ্ছে না দল। তবে আমলনামা তৈরি হচ্ছে তাদের-আসছে কাউন্সিলে দলীয় পদ হারানোসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারে।
শেষ হওয়া চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৩৬ উপজেলায় নৌকাকে হারিয়ে জিতেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রাহী প্রার্থী। অভিযোগ বিদ্রোহী এসব প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এমপিসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনার পর ৫ ই এপ্রিল এসব নেতাকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেয় দল। তবে দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন আপাতত শোকজ না করে অভিযোগ পুনরায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, অভিযোগগুলো অনেকটা ঢালাওভাবে হয়েছে। সে কারণেই বিস্তারিতভাবে তদন্ত করতে চাইছি আমরা। ঢালাও অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কাউকে কারণ দর্শানো বা শাস্তি দেয়াটা যোক্তিক নয়। প্রত্যেকের আমলনামা কিন্তু সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। সামনের কাউন্সিলে তারা তাদের পদ হারাতে পারে, এটা তার শাস্তি।
তদন্তের দায়িত্ব থাকা দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, দৃশ্যমান না হলেও কোন না কোন ভাবে শাস্তির আওতায় আসবে অভিযুক্তরা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আওয়ামী লীগ যদি কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করে, সেটি যদি ব্যক্তি স্বার্থের অনূকুলে নাও হয় সে সিদ্ধান্ত যে কেউ মানতে বাধ্য। আর এটা না মানা হচ্ছে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। আর এই বিশ্বাসঘাতকদের অবস্থান কি হবে তা ভবিষ্যতেই নির্ধারণ করা হবে। যারাই অপরাধ করেছেন তারাই শাস্তির আওতায় আসবেন।
দলীয় ইমেজ রক্ষার পাশাপাশি নিজেদের সামাজিক অবস্থান ধরে রাখতে দলটির নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন দলটির শীর্ষ নেতারা।