ঢাকা অফিস : সারাদেশে দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার দুপুরে, জেলা কার্যালায়ে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। পরে, সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর বাসায় পাল্টা আরেকটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। সিনিয়র নেতাদের অভিযোগ, জেলা কমিটি মনগড়া কমিটি করে তারেক রহমানের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে প্রথম কর্মীসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সামনেই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সবশেষ গেল ২৫শে এপ্রিল জেলা কমিটি ভেঙে দশ দিনের মধ্যে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। একইসাথে বহিস্কার করা হয় দুই নেতাকে। এতে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালায়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ‘তারেক রহমান নির্দেশনা ছিল সিনিয়র নেতারা একটা এ্যাডহক কমিটি করে দেবেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তারা সাধারণ সভা ডেকেছে। এর প্রতিবাদে আমরা সাধারণ সভা বয়কট করে একটি বৈঠক করেছি।’
তবে, সদ্য বিলুপ্ত কমিটির বিষয়ে জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, ‘যারা নিজেদের স্বার্থে দলকে ব্যবহার করতে চায় তারা সময়ের ব্যবধানে এমনি ঝরে পড়ে যাবে। আর, যারা দলকে ভালোবাসে তারাই আগামীতে দলে থাকবে।’
জেলা বিএনপি নেতাদের পাল্টা অভিযোগ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার নাম ব্যবহার করে দল অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ।
সদ্য বিলুপ্ত বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানে কয়েকজন উপদেষ্টা তাদের পছন্দ মতো পকেট কমিটি করতে চায়। তাহলে তারা ঘরে বসেই বিএনপিকে পরিচালিত করতে পারবে।’
এদিকে, সদ্য বিলুপ্ত ঘোষণা করা কমিটিকে দেউলিয়া উল্লেখ করে দলে বিভক্তির কথাও স্বীকার করলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
দলীয় কোন্দল আগে থেকেই শুরু হয়েছে স্বীকার করে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে যখন দলের চেয়ারম্যানের নির্দেশনা জানানোর জন্য সিনিয়র নেতাদের ডাকা হয় সেখানে অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে।’