আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা দ্বিতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই ভারতের কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পাটি-বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। পুনরায় ক্ষমতায় বসতে যাওয়া এই সরকারের সাথে ‘বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব পরিবর্তন হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তিস্তা চুক্তি বিষয়ে আশার আলো দেখতে না পেলেও, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশেকে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তারা।
স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় থাকায় বাংলাদেশের কাছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের নির্বাচন বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। গেল ৫ বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে মোদি সরকারের সম্পর্ক ভালো ছিল।
ভারত শাসনের ভার ফের নরেন্দ্র মোদির হাতেই উঠছে। টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসতে যাওয়া বিজেপির সাথে বাংলাদেশে-ভারত সম্পর্কে নতুন কোনো মাত্রা নিয়ে আসবে কিনা এসব নিয়ে প্রশ্ন ছিল বিশ্লেষকদের কাছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক আকমল হোসেন বলেন, মোদির সরকারের সঙ্গে আমাদের এই সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ধীরে ধীরে আরও দৃঢ় হয়েছে। যে সম্পর্ক এখন আছে সেটা আরও কতদূর এগিয়ে যাবে তার প্রশ্ন এবং উত্তর খোঁজা উচিত।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে যে ক্যামেস্ট্রি আছে, এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই শক্তির মাধ্যমেই ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছে।
দল ও সরকারে মোদির আরো মজবুত অবস্থানে দু’দেশের অমিমাংসিত বিষয়গুলোয় আদৌ কী ধরনের প্রভাব ফেলবে?
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক আকমল হোসেন জানান, মমতা ব্যানার্জী কখনোই চাননি তিস্তা চুক্তি হোক। বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়লেও সেটি সরাসরি মমতার উপর কোন প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না। কারণ এটা তার রাজ্য সরকারের বিষয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মোদি সরকার বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান। তিনি বলেন, কংগ্রেসের ইশতেহার কিন্তু রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের যে সমস্যা আছে সেটা সমাধানে তারা সাহায্য করবে বলে উল্লেখ ছিল। এটার একটা ইমপেক্ট আছে কারণ কংগ্রেস এখনো ভারতের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল। এবার যেহেতু নরেন্দ্র মোদি আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাই তাদের কাছে আমাদের চাহিদা হবে তারা যেন আমাদের এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার ভারত ও চীনের সাথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে বিচক্ষক্ষণতার পরিচয় দেবে বলেও মনে করেন তিনি।
মোদি সরকারের হিন্দুত্ববাদ, বৈদেশিক নীতি বা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করেন এই দুই বিশ্লেষক।