ঢাকা অফিস : উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, তাদের মদদদাতা এবং সহায়তাকারীদের কারণ দর্শানো হচ্ছে। এরই মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অন্তত ৭০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এসেছে। এছাড়া, দলের সাংগঠনিক সম্পাদকেরা আলাদা তালিকা তৈরি করেছেন।
আগে, জাতীয় নির্বাচন ও অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
তবে এবার পাঁচ ধাপের উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে দলটি। শুধুমাত্র বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধেই নয়, সহযোগী সংগঠনের যেসব কর্মী তাদের পক্ষে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবার হুশিঁয়ারি দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকেও জানিয়ে দেবো যারা যারা দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষ নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
দলটির নেতারা জানান, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। কারণ দর্শানোর উত্তর সন্তোষজনক না হলে দেয়া হতে পারে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতিও।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে শাস্তির এই সিদ্ধান্ত খুবই সময়োপযোগী ও সঠিক পদক্ষেপ। শাস্তি হিসেবে কাউকে শোকজ, কাউকে সাময়িক বহিস্কার আবার কাউকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, আমরা একটি সার্ভে কমিটি করেছি তাদের মাধ্যমে আমরা খোঁজ নিচ্ছি মোট কতজন এই কাজ করেছেন। ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি তালিকা আমরা করেছি।
এদিকে, অভিযুক্তদের তিনভাগে ভাগ করে তিন ধরণের কারণ দর্শানোর নোটিশ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
তিনি জানান, এলাকার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক যদি সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিকভাবে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। এরজন্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের মাধ্যমে তাকে জবাব দিতে হবে। আর যারা এমপি বা মন্ত্রী আছেন তাদেরও কারণ দর্শানোর নোটিশের মাধ্যমে এর সঠিক জবাব দিতে হবে।
তিনি আরো জানান, ২১ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর জবাব দিতে হবে।