ঢাকা অফিস : উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন আর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষককে শুধু বাড়তি উৎপাদনেই উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। কিন্তু তার উৎপাদিত পণ্যের মজুদ আর বাজারজাতকরণ সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই উৎপাদন বাড়লে ধানের দাম মেলে না, দুধ ফেলে দিতে হয় রাস্তায় আর রপ্তানিযোগ্য চামড়াও পুঁতে ফেলতে হয় মাটিতে। উৎপাদন বাড়ানোর সব লোকসান শুধুই কৃষকের কাঁধে।
৭ বছর আগে, ১ কেজির গরুর মাংসের দাম ছিল ১৮০ টাকা। এখন দাম ৫৪০ টাকা। অভ্যন্তরীন চাহিদা পুরণে খামারিরা গবাদি পশুর উৎপাদন বাড়িয়েছে। দেশে এখন গবাদি পশু সাড়ে ৫ কোটি ছাড়িয়েছে, এর অর্ধেকের বেশি গরু-মহিষ।
গবাদি পশু আর মাংসের দামের উর্ধমুখী অবস্থায় কাঁচা চামড়ার দাম নিম্নমুখী বছরের পর বছর। ২০১৩ সালে ১ বর্গফুট চামড়ার দাম ৯০ টাকা। এ দাম কমে চলতি বছর নেমে হয়েছে অর্ধেক, ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। রেকর্ড দরপতনের খেসরত দিচ্ছেন, খামারি, নির্ভরশীল মসজিদ মাদ্রসার এতিম আর প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা।
লাখ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন করেও বিপদে খামারিরা। বাজারে একলিটার প্যাকেটজাত দুধ ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও খামারিকে ৩০ টাকা পেতেই অনেক বেগ পেতে হয়। কখনো এটুকু না পেয়েও প্রতিবাদ করেন কৃষক।
ডিম কিংবা ধানের ক্ষেত্রেও বাড়তি ফলনের দায় নিচ্ছেন শুধু কষকই। প্রয়োজনের তুলনায় একটু উদ্বৃত্ত হলেই সামাল দেয়া যায়না কেন, সমস্যাটা কি শুধু সরকারের সক্ষমতা আর নীতিতে? কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে স্থায়ী মূল্য কমিশন এর সমাধান দিতে পারে, পরামর্শ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি’র।
স্থায়ী মূল্যকমিশন গঠনের পরিকলন্পনা না থাকলেও কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষনে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ উদ্যোগ রয়েছে সরকারের জানান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক।
কৃষক পর্যায়ে চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিতে করনীয় নেই প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের। ভাল দাম পেতে, কাঁচা চামড়া রপ্তানীতে সায় আছে প্রতিষ্ঠানটির।