আন্তর্জাতিক : জাপানের জনসংখ্যা কমতে থাকায় জাপান যেসব দেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কর্মী নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও যুক্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার, জাপানের রাজধানী টোকিওতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফলে, দক্ষ কর্মী প্রেরণকারী নবম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ জাপানের সাথে সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করলো।
জাপানের বিচার,পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য,শ্রম ও কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাপানের জাতীয় পরিকল্পনা এজেন্সি এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এ সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক জাহান এবং জাপানের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধীন ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সির কমিশনার মিজ সোকো সাসাকি নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এ সময়, অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাসহ দু’দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ।
এ বিষয়ে সচিব রওনক জাহান বলেন, ‘সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত স্বাপেক্ষে জাপানে দক্ষ কর্মী প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে যা দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে।’
এখানে উল্লেখ্য দুইটি ক্যাটাগরিতে আগামী পাঁচ বছর কেয়ার ওয়ার্কার, বিল্ডিং ক্লিনিং ম্যানেজমেন্ট, মেশিন পার্টস ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, কন্সট্রাকশন, জাহাজ শিল্প, অটোমোবাইল, কৃষিসহ জাপানের ১৪টি খাতে বিশেষভাবে দক্ষ এবং জাপানিজ ভাষায় পারদর্শী কর্মীদের নিয়োগ প্রদান করবে জাপান।
প্রথম ক্যাটাগরিতে জাপানীজ ভাষার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকলে পরিবার ছাড়া জাপানে পাঁচ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাবেন। আর দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে যারা দক্ষ কর্মী (গবেষক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী), তারা জাপানে যতদিন খুশি ততদিন থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গে, দক্ষ কর্মীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের জাপানে নেয়ার সুযোগ পাবেন।
সচিব আরো জানান সরকার জাপানের চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে দক্ষ কর্মী তৈরিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছ।
এর আগে প্রাথমিকভাবে ভিয়েতনাম, চীন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড ও পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ এই তালিকায় ছিল। এখন বাংলাদেশের নামও এই তালিকায় যোগ হল।
আগামী ৫ বছরের জন্য ৩ লাখ ৩৪ হাজার কর্মী নিয়োগের জন্য গেল বছরের ডিসেম্বরে দেশটির পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে দুই ধরনের ভিসা ব্যবস্থা চালু করে জাপান সরকার।