ক্রীড়া ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে থেকেই নানা সমালোচনার শিকার হচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। কখনও ম্যানেজমেন্ট আবার কখনও কোচের সাথে জড়িয়েছেন বিতর্কে। টেস্ট সিরিজে বাজেভাবে হারার কারণে সময়টা আসলে খারাপই যাচ্ছিল টাইগার টেস্ট অধিনায়কের। তবে সেই খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে এসে সব সমালোচনার জবাবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেই করে বসলেন রাজকীয় এক সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি করতে তিনি খরচ করেছেন ১০৮টি বল। এটি মুশফিকের ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। দুই ছক্কা ও ১০ বাউন্ডারির মাধ্যমে অসাধারণ ইনিংসটি খেলেন মুশফিকুর রহীম। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া মুশফিক এ নিয়ে মোট ১৭৭ ওয়ানডে খেলছেন। এর আগে দুই ওপেনার ভালো শুরু করলেও, খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। লিটন ২১ আর ইমরুল ৩১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন। সাকিব কিছুটা লড়াই শুরু করলেও ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে ২৯ রানে সেও বিদায় নেন। তবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। ৫২ বলে করেছিলেন ৫০ রান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব-মুশফিক। তাদের এই জুটিতে ভর করেই ১০০ রান পার করে বাংলাদেশ। তবে সাকিবকে বেশি দূর যেতে দেননি ইমরান তাহির। মাত্র ২৯ রান করেই তাহিরের ঘূর্ণিতে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এ বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার। তবে সাকিবের বিদায়ের পর নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদুলাহকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন মুশফিক। যদিও ২৬ রানে মাহমুদুলাহর পর সাব্বিরও ফিরে যান। এরপর নাসিরকে নিয়েই লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক।