১২৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলায় ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন লিটস দাস। আর বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১৮ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এ ম্যাচে, সক ফরম্যাট মিলিয়ে ৭০০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বও গড়েন তিনি।
৩২২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৩৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে জিম্বাবুয়ে। রোডেশিয়ানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মাধেভের। বাংলাদেশের পক্ষে সাইফুদ্দিন ৩টি, মিরাজ ২টি, মাশরাফী ২টি, তাইজুল ১টি ও মুস্তাফিজ ১টি উইকেট দখল করেন।
শুরুতে টাইগারদের ব্রেক থ্রু এনে দেন সাইফুদ্দিন। দলীয় ১ রানে কামানহুকামওয়েকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর চাকাভাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাইফুদ্দিন। তখন জিম্বাবুয়ের রান ছিলো ২৩ রান। তারপর চিভাভাকে মাশরাফী, টেইলরকে তাইজুল, সিকান্দার রাজাকে মুস্তাফিজ ও মাধেভেরকে মিরাজ আউট করলে পুরোই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
এরপর, আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি চিভাভার দল। মুতুম্বামি রান আউট হন ১৭ রানে। তিরিপানোকে ২ রানে ফেরান মিরাজ। আর, সাইফুদ্দিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মাম্বা। আর, মাশরাফীর দ্বিতীয় শিকার মুতমবজি শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেন ২৪ রান।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাট করে লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মোহাম্দ মিঠুনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে মাশরাফীর দল।
প্রায় দেড় বছর পর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আবারও ক্রিকেটে ফেরা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের এই ম্যাচে ওপেনিং জুটিকে তামিম-লিটন জড়ো করেন ৬০ রান। তামিম ফিরে যান ২৪ রান করে। এরপর, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিটন-শান্ত করেন ৮০ রান। শান্ত আউট হন ২৯ রান করে। তারপর মুশফিক বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। তবে, অপরপ্রান্তে মের খেলতে থাকেন লিটন। সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তবে, দলীয় ২০৬ আর ব্যক্তিগত ১০৫ বলে ১২৬ রানে রিটায়ার্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
এরপর, মাহমুদউল্লাহ’র ২৮ বলে ৩২ রান ও মিঠুনের ৪১ বলে ৫০ রানে তিনশো পার করে টাইগাররা। রোডেশিয়ানদের পক্ষে এমপফু ২ উইকেট দখল করেন।