কাঁঠালতলা-মাগুরখালী ব্রীজটি যেনো মৃত্যুর ফাঁদ!

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-০৫ - ১৬:৪০

ডুমুরিয়া, খুলনা: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কে সুন্দরবুনিয়া নদীর উপর দীর্ঘদিনের পুরাতন বেলি ব্রীজটির বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ আঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করে থাকে। কেউ যেন দেখার নাই। অথচ এই সড়ক দিয়ে ৫টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। যে কোনো মূহূর্তে বড় ধরণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৯০ দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কে সুন্দরবুনিয়া নদীর ওপর একটি লোহার বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করে। তারপর অদ্যাবধি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্রীজটি আর কখন সংস্কার করেনি। সরেজমিন দেখা যায় ব্রীজটির লোহার পাতগুলোর সিংহ ভাগ অংশই মরিচায় নষ্টের উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বর্তমান সরকারের সময় গ্রামীণ অবকাঠামের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কটির জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও সুন্দরবুনিয়া নদীর উপর নির্মিত সেই পুরাতন ব্রীজটির দিকে, কারো নজর নেই। যে কোনো মূহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি ভেঙে, বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী কার্তিক জানান, এলাকার জনসাধারণ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন প্রয়োজনের তাগিদে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনয়নের অভ্যান্তরে সুন্দরবুনিয়ার ভাঙ্গা ব্রীজ পার হয়ে খুলনা-যশোর, সাতক্ষীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় পল্লী-শ্রী ও স্বর্ণ-দ্বীপ কলেজ ও বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক-প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাগুরখালী ও মাদারতলা এ দু’টি পুলিশ ক্যাম্পে যেতে হয়। তাছাড়া মাগুরখালী, শোভনা, মাগুরাঘোনা, খর্নিয়া ও আটলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম, ঐ সড়কের ওপর নির্মিত ব্রীজ দিয়ে। এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি-মৎস্যসহ নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহরে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এ ভাঙা ব্রীজ পার হতে হয়। ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন বলে এলাকার মানুষ জোর দাবী তুলেছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে ও এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে দ্রুত ব্রীজটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আটলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড. প্রতাপ কুমার রায় জানান, মুলত সুন্দরবুনিয়া ব্রীজটি দ্রুত নষ্ট হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, অপরিকল্পিত ভাবে ভাটার ইট বোঝাই ট্রাক চলাচলের ফলে ব্রীজের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থ্যায়নে ২ বার ব্রীজটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন ব্রীজটি ভেঙে, যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পাবে। জনস্বার্থে সরকারি অর্থ্যায়নে ব্রীজটি সংস্কারের ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিত দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিদুৎ কুমার দাস জানান, এটা সাপোর্টিং রুলার ব্রীজ নামক প্রকল্পের অধীনে রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে নথীভুক্ত আছে যা অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে, তবে চলাচলের উপোযোগী করার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।