সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে জনগণকে রক্ষা করাকেই সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে, যেন ভাইরাসটি ছড়াতে না পারে। ফলে করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনগণকেও নিজেদের সুরক্ষায় যাবতীয় নিয়ম ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
সরকারের নানা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিভাগীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে তিনি, এ পরিস্থিতিতে নিজেদের কাজ ঠিকঠাক পালন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির অপসুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোন অপকর্ম না ঘটায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা দরকার। এই দুঃসময়ে কেউ দুর্নীতি করলে, সে যেই হোক, ছাড় পাবে না। দেশের দরিদ্র, অসহায়, নির্ভরশীল, বর্তমানে কর্মহীন মানুষ যেন যথাযথভাবে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আসে, সেদিকে নজর দিতে জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান-সংস্থা ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বঅর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। এছাড়া নানা মাধ্যমে গুজব ছড়োনো থেকে বিরত থাকতে ও ছড়ানো গুজব থেকে সতর্ক থাকতে, সবার প্রতি আহ্বান জানান।