মো:নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ঝালকাঠি জেলাকে লকডাউন ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। যদিও শহরকে এরই মধ্যে অঘোষিত লকডাউন করেছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। এরপরও মানুষ কারণে-অকারণে রাস্তায় বের হচ্ছে। এ অবস্থায় জেলার সচেতন মহল দ্রুত ঝালকাঠি জেলা “লকডাউন” ঘোষনার দাবী জানান।
এদিকে জেলার প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ শহরের গুরুত্বপুর্ন এলাকা বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, কলেজ মোড়, ব্র্যাক মোড় ও ফায়ার সার্ভিস মোড়,চাদঁকাঠিসহ বেশ কয়েকটি এলাকার সড়কে বাঁশ ও চটি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে পুলিশ তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও জেলার উপজেলা শহরে সহ গ্রাম মহল্লায় এ রখম চিত্র দেখা গেছে।
ঝালকাঠি জেলা মানবধিকার সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, ঝালকাঠি শহরকে পুলিশ আটকে দিলেও রাস্তায় মানুষের ঢল কমেনি। এ অবস্থায় জরুরীভাবে পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা উচিত। এবং মানুষকে সচেতন করার জন্য আরো ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।
ঝালকাঠি জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও পিপি এ্যাড. আব্দুল মান্নান রসুল বলেন, ‘এখনো মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। জেলাকে লকডাউন ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে ঝালকাঠি জেলা শহরে বেশ কয়েকটি এলাকা আছে গনবসিতি ওই সব এলকায় বিশেষ নজরদারী করার জন্য দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, ‘মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে একটি পথ শুধু খোলা রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিদিন মাইকিং করে সাধারন মানুষ কে সচেতন করা সহ পুলিশ মাঠে আছে। মানুষ সচেতন হচ্ছে। আজ (গতকাল) রাস্তায় মানুষ বেশ কম ছিল।’