সেলিম হায়দার : চৈত্রের অন্তিম দিনে বিদায় নিচ্ছে আরো একটি বছর। বিদায় ১৪২৬, স্বাগত ১৪২৭ । নতুন বছর মানেই নতুন পঞ্জিকা । নতুন দিনক্ষণ ।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) ৩০ চৈত্র। ১৪২৬ বঙ্গাব্দের শেষ দিন। আজকের এ দিনটি মহাকালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটবে নতুন বছরের নতুন সূর্যোদয়। স্বাগত ১৪২৭ ।
বিদায় সব সময়ই বেদনার। বর্ষবিদায় নানা হিসেব-নিকেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তবে নতুন বছরের আগমনী বার্তা আর পুরোনো বছরের বিদায় বেলায় থাকে উৎসবের রঙ। তবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার চারপাশে শুধুই কষ্টের প্রতিচ্ছবি।
ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে প্রতিবছরের মতো এই দিনটিকে ঘটা করে উদযাপন করতে পারছে না বাঙালি। এবার মিলিত হবার শক্তিতে নয়, গৃহে থেকে সবার কল্যাণ কামনার শক্তিতেই সংস্কৃতিক অভিযাত্রা সত্য-সুন্দরের দিকে এগুবো এমটাই প্রত্যাশা সংস্কৃতিকর্মীদের। প্রতিবছরের মতো এবারো চৈত্র সংক্রান্তির এই দিনে নানা আয়োজনে মেতে থাকবে মানুষ। গ্রামের সরলজন কিংবা নগরমানুষ পুরনো অসত্য, অসুন্দরকে ফেলে এগিয়ে যাবে চৈত্র সংক্রান্তির মহাক্ষণে।
মেলা, পুতুল নাচ, চড়ক-গাজন উৎসবে মাতবে বাঙালি। হালখাতা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথাও ছিল ব্যবসায়ীদের। না, এবার হাতে থাকছে না হাত। কাঁধ মিলছে না কাঁধে। সত্য-সুন্দরের আগমনের কোনো সুরও বাজছে না। তবে, কি বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা থেমে যাবে? সংস্কৃতি দিয়েই তো বাঙালি কতকিছুর বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করলো। জয়ী হলো। তবে এবার, শক্র অদৃশ্য হলেও তার পদচ্ছাপ, তার বিস্তার দৃশ্যমান সমগ্র বিশ্বজুড়ে।
শত্রুর সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধে এবার বাঙালির ঢাল ঘরে থাকা। ক্ষণিকের এই নির্বাসন যদি নিজের এবং সকলের জন্য কল্যাণ কামনার হয় তবে এটাই এখন বাঙালি সংস্কৃতির বড় শক্তিতে রূপ নেবে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন যাপন করি। তাহলে আমি নিশ্চিত আগামী বছর আমরা সম্মিলিতভাবে হিসেব-নিকেসটা সঠিকভাবে করতে পারবো। নতুন বছর সবার জন্য নিয়ে আসবে শুভ বারতা এমনটাই সবার প্রত্যাশা।