ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জফেরত ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর ও পুলিশের উপপরিদর্শককে (এসআই) হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে জ্বর, সর্দি ও কাশি যাদের রয়েছে, তাদের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জফেরতরা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা ফেরত তিনজনের করোনা সনাক্ত হওয়ায় স্থানীয়দের মনে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়াইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এক সদস্য ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। এদিকে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় পুলিশের এক এসআই নারায়ণগঞ্জ থেকে আসার পরে তাকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের বাসা লকডাউন করে দেওয় হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ প্রবেশ করেছে। তবে জেলা প্রশাসন খবর পেয়ে ২৭৩ জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ এখন পর্যন্ত ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জনের রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ জনের করোনা পজেটিভ এবং অন্যদের নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার।
এদিকে ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় শহরকে অঘোষিত লকডাউন করা হলেও, তা মানা হচ্ছে না। সকাল থেকেই কারণে অকারণে লোকজন বেড়িয়ে পড়ছেন শহরে। যানবাহনও চলছে আগের মতোই। বাজারগুলোতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। গায়েগা মিলিয়ে বেচাকেনা চলছে। এর মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে করা হচ্ছে জরিমানাও। এর পরেও লোকজনের ঘরে থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিতে অকারণে রাস্তায় বের হওয়া ও দোকানপাট খোলা রাখার দায়ে ৩০ জনকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।