এছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত নতুন ৪৩৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এই মারণ ভাইরাসে মোট শনাক্ত হলেন ৩,৩৮২ জন।
সোমবার (২১শে এপ্রিল) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা জানান, মৃতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চারজন নারী। তাদের মধ্যে তিনজন ষাটোর্ধ্ব, তিনজন পঞ্চাষোর্ধ্ব ও বাকি ৩ জনের বয়স ৪০ বছরের বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় ২,৯৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন আরও ২ জন। অর্থাৎ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৭ জন।
তিনি আরও জানান, সংক্রমণের হারের দিক থেকে ঢাকা এগিয়ে। গত ২৪ ঘন্টায় ৭৯ জনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ৭৬৫ জন ব্যক্তি। যারা কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পাচ্ছেন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাই যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
দেশে গত ৮ই মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। আর, সারা দেশে গত ২৬শে মার্চ থেকে ২৬শে এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন। মানুষকে ঘরে রাখতে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১,৭০,৫৯৭ জন ব্যক্তি। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে সারা বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৫১৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৯২৮ জন মানুষ। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৭৭ জন। বর্তমানে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৪২ জন। যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ৫৭,৩৩৮ জন।