দাকোপ, খুলনা : খুলনায় তরমুজ চাষের জন্য খ্যাত দাকোপের বাজুয়া সহ জেলার অধিকাংশ এলাকায় তরমুজের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।আর সারা বিশে^র ন্যায় বাংলাদেশের সর্বএই যখন করোনা মোকাবেলায় কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন চলছে ঠিক তখনই তরমুজ তোলা ও তরমুজের ক্ষেত কেনা বেচার রিতীমত ধুম পড়েছে।ব্যবসায়ী বা ফড়িয়ারা খুলনার দাকোপ, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, কয়রা, রুপসা সহ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ কিনতে গত ৮/১০ দিন যাবৎ পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, গোপালগঞ্জ, যশোর, সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক নিয়ে তরমুজ ক্ষেত এলাকায় ডুকে পড়েছে।করনার কারনে কৃষকদের শঙ্কা ছিল লকডাউনের কারনে শেষ পর্যন্ত মাঠের তরমুজ বিকরি করা সম্ভব হবে কি হবে না, কৃষকরা হয়তো বিগত বছরের মত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে কিন্তু না কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা ক্ষেতের ফসল যাতায়াত করতে ট্রাক সহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচলে কিছুটা শিথিল করার সুযোগে দাকোপ বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনরাত ব্যবসায়ীরা ট্রাক, ট্রলার, নৌকা সহ নানা যানবাহন নিয়ে দলে দলে অবাধ চলাচল শুরু করেছে, নেই কোন বাধবিচার।মোটকথা করনার ঝুকি এড়াতে কোন প্রকার বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না, এরই মাঝে দাকোপে ২ জন করোনা রোগি সনাক্ত করা হয়েছে, ৮০ টি বাড়ি রয়েছে লকডাউনে, তারপরও আদৌ সচেতন হচ্ছেনা ব্যবসায়ীরা।খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদেও সার্থে ট্রাকসহ সকল যানবাহন চলাচল এবং যে কোন জেলার ব্যবসায়ী ডুকার বিষয় শিথিল করেছে।এ সুযোগে অবাধে সকল এলাকার মানুষ বিশেষ করে বাজুয়া এলাকায় ডুকে পড়ায় এলাকায় অনেক বেশী লোক সমাগম দেখা যাচ্ছে , মানা হচেছ না কোন প্রকার করনার বিধিনিষেধ আর কৃষকদের সার্থে এমন বড় ধরনের ছাড় দেওয়ায় সকল ক্ষেএে করনার লকডাউনের গুরুত্ত কমে গেছে, বেড়েছে করনার ঝুকি।তরমুজের বাম্পার ফলন ও চড়া মুল্যে তরমুজ বিকরিতে মজে গেছে কৃষক, ভুলে গেছে করনার ভয়াবহতা। দাকোপ এলাকার গ্রাম গায়ের মানুষ তাই করোনা নিয়ে আগেরমত আর ভাবছে না বলে অধিকাংশ মানুষের কাছে মনে হচ্ছে।এ বিষয় গংগারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগনেতা হাদিউজ্জামান হাদী কাছে জানতে চাইলে বলেন আমার এলাকায় প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে, ফলনও ভাল হয়েছে, বর্তমানে এলাকায় যানবাহন আসতে শুরু করেছে, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে যারা এলাকায় ডুকছে তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যানবাহনের সাথে সিমিত সংখ্যক লোক ডুকালে কোন সমস্যা হবে না বলে আমি মনে করি।তবে সকল বিষয় আমাদের মাথায় না থাকলে বড় ক্ষতিরও সম্ভাবনা রয়েছে।দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন কৃষকদের সার্থের বিষয়টিও আমাদের মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বাজুয়া এলাকায় বিভিন্ন জেলার বহু ব্যবসায়ী ডুকে পড়েছে এ জন্য আমরা করনার বিষয়ে গ্রামের মানুসদের সচেতন করতে সত্তর সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে ডেকে সচেতনমূলক সভা করবো।দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগনেতা মুনসুর আলি খান বলেন অবাধে সকল শ্রেণীর মানুষকে তরমুজ ক্ষেত এলাকায় ডুকতে দেওয়া যাবে না, তাতে মহাবিপদের সম্ভাবনাও আছে এমন চিনতা মাথায় রেখে ট্রাক ড্রাইভারদের পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ট্রাক বা যে কোন যানবাহনের সাথে সিমিত লোক ডুকতে দিতে হবে আর করোনা মোকাবেলায় সকল নিয়ম সকলকে মেনে চলতে হবে।উল্লেখ্য এবার শুধু দাকোপের বাজুয়া এলাকা থেকে ৭০০ হেক্টও জমিতে চাষ করা কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার তরমুজ বিকরি করা হবে, আর দাকোপ কৃষি অফিসসূএ মতে আরো বেশি টাকার তরমুজ বিকরি হবে বলে জানান।দেশের মধ্যে সেরা স্বাদের এ তরমুজের দেশের রাজধানীসহ বিদেশের বাজারেও বেশ চাহিদা রয়েছে।