ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ ফুলতলা উপজেলাব্যাপী বোরোধান কাটা ও সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষের পথে। আর কিছুদিনের মধ্যেই ফসলের মাঠ ফাঁকা হয়ে যাবে। করোনা ভাইরাসের ঝুকির মধ্যেও কৃষকদের মাঝে এক ভিন্ন ধরনের উৎসব মুখরতা বিরাজ করছে। ধান কাটার শুরুতেই কৃষকরা ছিল আতংকের মধ্যে। কারণ করোনা সংকটের কারণে শ্রমিক সংকট এবং বৈরী আবহাওয়া। এ সমস্ত সমস্যা মোকাবেলা করেই উপজেলার কৃষকরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে। অন্যদিকে এ বছর খরচের তুলনায় ধানের দাম বেশি। যদিও কয়েকদিন পূর্বে ঝড় বৃষ্টিতে কিছুটা বিরুপ অবস্থা সৃষ্টি করলেও বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি কৃষকদের। তবে বর্ষার কারণে এবার অনেক বিছালী নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে গো খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে। সব মিলিয়ে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কৃষকরা এখন ব্যস্ত ধান কাটার কাজ শেষ করে অতি দ্রুত ধান ঘরে তুলতে। কৃষকদের সাথে কৃষাণী, ছাত্র-শিক্ষকরাও সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া এ বছর আশার কথা হলো স্বেচ্ছা প্রনোদিত হয়ে কৃষক নন এমন পেশার মানুষও ধান কাটার কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। যা কৃষকদের অনেকাংশে উদ্দীপ্ত করেছে। কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে গত বছর ধানের মূল্য কম ছিল। সেই তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুন। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে কৃষকরা এবারই ধানের দাম বেশি পাচ্ছে। আবার সরকার ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় করবে সেখানেও কৃষকদের সরাসরি অন্তভ‚ক্তি করায় তারা খুশি।
ফুলতলা উপজেলা কৃষি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোছাঃ রীনা খাতুন জানান, এ বছর ৪ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে কৃষি আবাদ করা হয়েছে। এর ভিতরে উপসি ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর এবং হাইব্রিড ১৫শ’ ৪৫ হেক্টর। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা একর প্রতি উপসি সাড়ে ৫টন ও হাইব্রিড ৭টন প্রায়। তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রথম দিকে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। পরবর্তীতে সরকারের পদক্ষেপের কারণে কৃষকরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে।
তবে কৃষক প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম মোল্যা জানান, এখনও মাঠে প্রায় ৩০ ভাগ জমির ধান কাটতে বাকি রয়েছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা সকল জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।