ঝালকাঠি প্রতিনিধি : শেষ পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলাতেও নতুন দুই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এই উপজেলাটি এর আগে করোনা মুক্ত ছিল। বুধবার রাতে পরীক্ষায় ২ ব্যক্তির দেহে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শ্যামলকৃষ্ণ হাওলাদার।
আর এনিয়ে জেলায় মোট সনাক্ত সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ জনে।কাঁঠালিয়ায় করোনা সনাক্ত দুই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম থেকে আসা। এদের মধ্যে একজন নারী এবং অন্যজন পুরুষ। গ্রামের বাড়িতে আসার পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল পাঠালে করোনা পভেটিভ রিপোর্ট আসে।
আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। এতে কাঠালিয়া উপজেলাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অঅক্রন্তদের একজনের বাড়ি উপজেলার শৌলজালিয়ায় এবং আরেকজনের বাড়ি আমুয়ায়। শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, ৭/৮ দিন আগে করোনা’র হট স্পট নারায়নগঞ্জ থেকে একই পরিবারের ৭জন তাঁদের গ্রামের বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার সাথে সাথেই তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই পরিবারের বাড়িতে একটিই ঘর। নারায়ানগঞ্জ থেকে আসার সাথে সাথেই তাদের কোয়ারেন্টিনে রেখে যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী তাদের বাড়িতে পৌছানো হচ্ছে। আগতদের কারো মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা না গেলেও সচেতনতার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের মাধ্যমে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট রিপোর্টের জন্য প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধার (৬৫) রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে বুধবার রাতে। পরিবারের অন্যদের রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে।
অপরজন একই উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া গ্রামের মধ্যবয়সী (৪৫ বছর তার বয়স)। তিনি সপ্তাহখানেক পূর্বে চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। তার সর্দি, কাঁশি দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট রিপোর্টের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বুধবার রাতে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকন্দ মোঃ ফয়সাল আক্রান্তদের বাড়ি গিয়ে লকডাউন ঘোষণা করেন তিনি জানান।
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রাম থেকে কাঠালিয়ায় আসা ২ জনের দেহে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। বুধবার রাতে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় থেকে এ রিপোর্ট জানানো হয়েছে। তাদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।