মো:নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি : অবশেষে ঝালকাঠির রাজাপুরে ইউপি সদস্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার রাতে নিহতের ভাই মিজান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা হলেও লাশ এখনো দাফন করেনি তার পরিবার। আসামী গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করায় আজ দাফন করবে বলে জানান।
এর আগে শুক্রবার মামলা ও আসামী গ্রেফতারের দাবীতে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে আজ সকালে পুলিশ আবারো নিহতের বাঢ়ী গেলে এলকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করে। অবস্থা বেগতি দেখে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ তার পরিবার আত্মগোপনে গেছে।
রাজাপুরে শুক্তাগড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা মোঃ কুদ্দুস হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা লায়লা’র হত্যা নিয়ে গ্রামে চরম উত্তেজনা চলছে।
সকাল ১১ টার দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা রুনা লায়লার বাড়ী উপস্থিত হলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করে।
গতকাল রাত ১১ টায় রাজাপুর থানায় এ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে রাজাপুর থানার ওসি মোঃ জাহিদ হোসেন জানান। তিনি বলেন, যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা মোঃ কুদ্দুস হোসেনের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা লায়লাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে বলে অভিযোগ নকরা হয়। পুলিশ অপমৃত্যু মামলা করে লাশ ময়না তদন্ত করে । পরে নিহতের পরিবারের ও এলকাবাসী ৪ দিননেও লাশ দাফন না করে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসুচি শুরু করলে পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।। মামলা হলে এবার বিক্ষোভকারীরা ইউপি সদস্য আঃ কুদ্দুসের গ্রেফতারের দাবী জানায় এবং লাশ দাফন বন্ধ রাখে। তারা দাবী করে পুলিশ আসামীদের পক্ষ নেওয়ায় আসামীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
ইউপি সদস্য কুদ্দুসের দাবি স্ত্রী রুনা লায়লা তার কাছে বাবার বাড়ি যাওয়ার আবদার করে। এতে কুদ্দুস স্ত্রীকে ধমক দিয়ে ঘরের বাইরে যায়। কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে শয়নকক্ষে স্ত্রীকে ওড়না গলায় জড়িয়ে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি মোঃ জাহিদ হোসেন জানান। গতকাল রাত ১১ টায় রাজাপুর থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে । তিনি বলেন, যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার ও মামলার তদন্ত অব্যহত আছে।