ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় আলোচিত সেই সৌমিত্র রায়ের বিরুদ্ধে এবার সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের অর্ধশত ফলন্ত গাছ কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩১ মে সকালে খড়িবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার খড়িবুনিয়া গ্রামের কালিপ্রসাদ রায়ের ছেলে পল্লী চিকিৎসক কুমারেশ রায়ে সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলে আসছে প্রতিপক্ষ সৌমিত্রদের। তারই জের ধরে ঘটনার দিন সৌমিত্র রায় তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে কুমারেশদের দখলীয় জমিতে প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধশত ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ক্ষতিসাধন করে। এনিয়ে কুমারেশ রায় ওই দিনই ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কুমারেশ রায় বলেন, আমার দাদুরা তিন ভাই। ছোট দাদুর নাতি হলো সৌমিত্র। প্রায় দেড় যুগ আগে থেকে আমাদের সম্পত্তি এওয়াজমালি (বিনিময়) সুত্রে ভোগ দখলে আছি। কিন্তু সে অন্যায়ভাবে আমাদের দখলীয় সম্পত্তিতে রোপিত আম, নারিকেল, পেয়ারা, কলা, নেবু, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধশত ফলন্ত গাছ কেটে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। তাকে বাঁধা দিলে আমাদের সাথে অশ্লিল ও অশোভনীয় আচরণ করে।
এ প্রসঙ্গে সৌমিত্র রায় বলেন, গত ৫ বছর আগে কুমারেশদের সাথে আমাদের যে বিনিময় করা সম্পত্তি ছিলো, সেটা গত বছর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমি তাদেরকে বহুবার বলেছি আমার জমি ছেড়ে দিতে। কারণ আমি ওই জায়গায় বসতবাড়ি করবো। কিন্তু তারা বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে। একপর্যায়ে আমি রাগন্বিত হয়ে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলি। তবে চারা গাছ কাটা আমার ঠিক হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ভান্ডারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হিমাংশু বিশ্বাস বলেন, সৌমিত্র ও কুমারেশদের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে ওদের নিয়ে বসাবসি করতে বিলম্বিত হচ্ছে। তবে ফলন্ত গাছগুলো কাটা তার ঠিক হয়নি। আর সৌমিত্র মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু সৌমিত্র একটা উচ্ছৃঙ্খলপনা ছেলে। সে দলবল নিয়ে আড্ডাবাজি করে।
এ প্রসঙ্গে থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, সৌমিত্র রায়ের বিরুদ্ধে গাছ কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।