তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার তালা উপজেলা মৎস্য অফিসার স্নীগ্ধা খা বাবলির বিরুদ্ধে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২, প্রজেক্ট (এনএটিপি-২), মৎস্য অধিদপ্তরের সিআইজি কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ প্রদর্শনী প্রজেক্টের কাজের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা ১২টি ইউনিয়নে ২৪টি পুকুরে সিআইজি কার্প মাছের চাষ হচ্ছে। প্রতিটি পুকুরে ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ থাকলেও পুকুর প্রতি প্রায় ৯ হাজার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, তালা মৎস্য অফিস কর্তৃক ২৪টি সিআইজি সমিতির অনুকুলে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্ধ হয়। ১৮মে ২০২০ তারিখ মৎস্য অফিসার স্নীগ্ধা খা বাবলি ২৪টি সমিতির অনুকুলে ১মন কার্প জাতীয় মাছ, ৮বস্তা (২৫ কেজির) ফিস ফীড এবং সাইন বোর্ড ক্রয় করে সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরন করেছেন।
খলিলনগর ইউনিয়নের সিআইজি সমিতির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক জানান, তার সমিতির আওতাধীন পুকুরে যে মাছ দেওয়া হয়েছে তার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ হাজার টাকা ও আট ব্যাগ (২৫ কেজির) মেঘাফিড যার দাম ৫ হাজার ৬শত টাকা ও একটি সাইনবোর্ড যার মূল্য ৩শত টাকা হবে। এছাড়া আমরা কিছুই পায়নি। মাছ দেওয়ার কিছুদিন পরেই আমার পুকুর থেকে অর্ধেক মাছ মরে যায়। বাকি ১০,১০০ টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানিনা। অপর এক সিআইজি সমিতির পুকুর মালিক প্রকাশ দেবনাথ জানান, ১মন কার্প জাতীয় মাছ, ২৫ কেজির ৮ বস্তা খাবার ও একটি সাইন বোর্ড দিয়ে আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। সব মিলিয়ে দাম হতে পারে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকার মত। বাকী টাকার কোন মাছ বা মাছের খাবার তারা দিচ্ছে না। একই অভিযোগ একাধিক সিআইজি সমিতি থেকে পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারীদের প্রদেয় তথ্যমতে ২৪টি সিআইজি পুকুরে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্ধ হয়। প্রতিটি পুকুরে যদি ১১হাজার টাকার মাছ, খাবার ও সাইন বোর্ড বাবদ বিতরণ করা হয় তাহলে সর্বমোট ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মালামাল বিতরণ হয়েছে। ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে বাকী ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে মৎস্য অফিসার স্নীগ্ধা খা বাবলির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মৎস্য অফিসার স্নীগ্ধা খা বাবলির কাছে জানতে চাইলে, প্রথমত তিনি এ প্রতিবেদককে সংশ্লিষ্ট তথ্য দিতে অস্বীকার করেন। পরে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, প্রতিটি পুকুরে ৪০কেজি পোনা মাছ ৯হাজার টাকা, খবার ১১হাজার টাকা ও সাইনর্বোড ১হাজার টাকা মোট ২০হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মৎস্য অফিসারের সাথে কথা বলে আপনাদের জানাব ।