ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : সংকটের পর অবশেষে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় আমন চাষীরা পাচ্চেন বীজধান কেনার সুযোগ। নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে ১০ কেজি ওজনের প্যাকেট বি আর ২৩ জাতের বীজ ধান কিনতে হবে ৩’শ টাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রয়েছে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে বীজধান নিয়ে শুরু হয়েছিল কিছুটা সংকট। কৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃষক বীজের অভাবে খোরাকি ধান দিয়ে চারা তৈরী করতে শুরু করে। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় দফায় আপোদ কালীন সহায়তা হিসেবে বাজারে বি আর ২৩ জাতের বীজধান আমদানী করা হয়েছে। যার প্রতি প্যাকেটে আছে ১০ কেজি ধান এবং মূল্য হচ্চে ৩’শ টাকা। তবে এই সুযোগটা বেশি পাচ্ছেন উপজেলার সাহস, শরাফপুর ও মাগুরখালী ইউনিয়নের কৃষকরা।
এ বিষয়ে কাপালিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নাছির উদ্দিন বলেন, বছরের শুরুতে বীজধান পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেকেই রাখি ধান (খাওয়ার ধান) বীজ হিসেবে ব্যবহার করেছে। হঠাৎ বাজারে ২৩ জাতের বীজ ধান আসাতে আমাদের অত্যন্ত উপকার হল। এই বীজ পাওয়া না গেলে এ বছর কৃষকের অনেক ক্ষতি হত এবং ডুমুরিয়ায় আমন ধানের উৎপাদনও হত অনেক কম। এই মুহুর্তে আমরা এ ধান কিনতে পেরে মহাখুশি।
ডুমুরিয়া বাজারের বীজ ধানের ডিলার মের্সাস আকাশ কৃষি ভান্ডারের মালিক ইলিয়াজ বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবারে আমি ৫’শ প্যাকেট বীজধান বিক্রির জন্য অনুমোদন পেয়েছি। এই দু’দিনে তিন’শ প্যাকেট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে এই মুহুর্তে চাষীরা এই ধান পাওয়ায় তাদের অনেক উপকার হয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে বরাদ্দের এই ধানে চাহিদা পুরণ হবে না।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলায় আমন মৌসুমে বীজ ধানের চাহিদা হল ৫৬৪ মেট্রিকটন। সেখানে আমরা বিএডিসি কর্তৃক সাপ্লাই পেয়েছি ৮৭ মেট্রিকটন। সেক্ষেত্রে সংকট তো হয়েই পড়েছিল। তবে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে কিছুটা সার্পোট পাওয়া গেছে। তারপরও বীজ ধানের সংকট চলছিল। বর্তমানে আপোদ কালীন সহায়তা হিসেবে বি আর ২৩ জাতের ২৭.৪ মেট্রিকটন বীজ আমদানী করতে পেরেছি। এখন আশা করছি, আর হয়তঃ বীজের সংকট হবে না।