সেলিম হায়দার, সাতক্ষীরা : নদীর উপর ভাঙা-চোরা সাঁকো। তারপরও হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে, পার করছে সাইকেল, ভ্যান ও মোটরসাইকেল। এলাকাবাসীর অভিযোগ- সাতক্ষীরা তালার শালিখা-কাটিপাড়া সড়কটি দিয়ে খেশরা, জালালপুর মাগুরা ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলা কাটিপাড়া, বাঁকা বাজার,সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলা জেলা শহরে যাতায়াত করে। ব্রীজের অভাবে তাদেরকে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কপোতা নদী ভরাট ও পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য সাঁকোর ঐ স্থানটিতে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ২০১৩ সালে পাখিমারা টিআরএম ও কপোতা পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় এই নদীটি খনন করার সময় রাস্তটি ভেঙে ফেলা হয়। তখন থেকে জনগণের দুর্ভোগ শুরু হয়।
জনসাধারণের সাময়িক চলাচলের জন্য স্থানীয় জনগণ খেশরা ইউনিয়নের তত্কালীন চেয়ারম্যান ও খেশরা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জের সমন্বয়ে একটি ঘাট কমিটি তৈরি করে নিজেদের অর্থায়নে সেখানে সাঁকোটি তৈরি করে। ঘাট কমিটির প থেকে মোটরসাইকেল ও ভ্যান প্রতি ১০ টাকা, সাইকেল প্রতি পাঁচ টাকা ও জনপ্রতি দুই টাকা করে টোল আদায় করা হয়। মাল বোঝাই যানবাহন আনা-নেওয়া ও টোল দেওয়ার ভয়ে জনগণ শুকনো মৌসুমে শালিখা কলেজের সামনে দিয়ে বিকল্প মাটির রাস্তা হয়ে চলাচল করে। এতে তাদের সময় বেশি লাগে এবং খরচ বেশি হয়। আর বর্ষা মৌসুমে সাঁকো পারাপার ছাড়া আর কোনো উপায়ই থাকে না। রেজাউল নামের একজন এলাকাবাসী বলেন, ব্রীজ না থাকায় সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে খুব অসুবিধা হয়। কাটিপাড়া ও বাঁকা বাজার থেকে জিনিসপত্র আনতে অনেক ঝামেলা হয়।
এলজিআরডি কর্তৃপ স্থানটি কয়েকবার মেপে গেলেও ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি ল্য করা যাচ্ছে না। অতি তাড়াতাড়ি এই স্থানটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে কার্যকরী পদপে নেওয়ার জন্য মাননীয় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।