প্রেসবিজ্ঞপ্তিঃ “আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি, আমি তারই কথা বলতে এসেছি” এভাবেই জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য শুরু করেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু ছোট বেলা থেকেই অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য ক্ষণজন্মা এ মহাপুরুষ খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক হয়ে ওঠেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়ে গেছেন একটি স্বাধীন দেশ, একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড ও লাল সবুজ পতাকা। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু দেশকে স্বাধীন করেই ক্ষান্ত হননি। দেশের মানুষ যাতে সুখে-শান্তিতে থাকে এ জন্য তিনি একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখে ছিলেন এবং সেই লক্ষ্যে যখন কাজ শুরু করেন তখন জিয়াউর রহমানের মদদে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু নাম মুছে দিতে এবং অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাত করতে ৭৫’র ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধী উত্তরসূরী জামায়াত-বিএনপি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখে ছিল। সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছিল। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে জাতিকে কলঙ্গ মুক্ত করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে যারা জড়িত ছিল, যাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদ ছিল, যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে তাদের কারো স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এটাই সৃষ্টিকর্তার বিচার। এমপি বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তারই যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে অনিয়ম, দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গিকার করতে হবে। তিনি গত শনিবার দুপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। দুপুরে বিভিন্ন মসজিদে কোরআন খতম, দোয়া এবং মন্দির সহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে পৃথক জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) হুমায়ুন কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লিপিকা ঢালী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু, ওসি এজাজ শফী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, খালেকুজ্জামান, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান মন্টু ও বজলুর রহমান।