আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় নয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে তিন হাজার দু’শোর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। তবে স্বস্তির খবর হল করোনায় মৃত্যুর ঘটনা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সেইসঙ্গে এখন টেস্টের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৯৭ জন; যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। ফলে রাজ্যে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১১৯ জন। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৭৮৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৬.৫১%।
এদিকে, রাজ্যে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৫৩ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। ফলে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩৪ জন এই মারণ ভাইরাসের বলি হলেন। মৃতদের মধ্যে ১৩.৮৬ শতাংশের বয়স ৭৫ বছরের বেশি। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের ৬.২৪ শতাংশের বয়স ৬১ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের মধ্যে কলকাতায় প্রতিদিন সর্বাধিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছিল। এদিন কলকাতাকে টপকে গেল উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় একদিনে ৭৪৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আর কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত আরও ৫৮৩ জন এবং ১১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। তবে মোট আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার নিরিখে রাজ্যের মধ্যে কলকাতা এখনও শীর্ষে।
সম্প্রতি বাংলায় ব্যাপক হারে করোনা টেস্ট হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে মোট ল্যাবের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯টি। একদিনে মোট ৩৫ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৬১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হল। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যার অনুপাতে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১২৯। আর ৮.৮৯ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
নয়া রেকর্ড গড়ে দেশে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৯ হাজার ৬৫২ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা গিয়েছে। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ২৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯২৫ জন। এর মধ্যে চিকিত্সাধীন রয়েছেন ৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৯৫ জন। সুস্থতার হার ৭৩.৯ শতাংশ। আর দেশজুড়ে এই মারণ ভাইরাসের থাবায় প্রাণ গিয়েছে ৫৩ হাজার ৮৬৬ জনের। মৃতের হার ১.৯ শতাংশ।