করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন বেশ কিছুদিন থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। নিতে হবে চিকিৎসা। ফলে নির্বাচনি সমাবেশে আপাতত সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তিনি। বাতিল হয়েছে ট্রাম্পের আসন্ন সপ্তাহের সব নির্বাচনি সমাবেশ। অনিশ্চয়তা রয়েছে ১৫ই অক্টোবরের মিয়ামির প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক নিয়েও।
প্রেসিডেন্টের করোনা শনাক্তের পর হোয়াইট হাইসে পরীক্ষার হিড়িক পড়ে গেছে। এরই মধ্যে একই দিন শনাক্ত হয়েছেন হোয়াই হাউজের সাবেক কাউন্সিলর কেলিয়ান কনওয়েসহ বেশ কয়েকজন।
করোনা নেগেটিভ এসেছে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের। নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার সমাবেশে ট্রাম্পের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। তবে মাস্ক নিয়ে ট্রাম্পের ব্যঙ্গ করার বিষয়ে জবাব দেয়ার সুযোগ হাত ছাড়া করেননি বাইডেন।
ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন বলেন, এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের করোনায় সংক্রমণ থেকেই আমাদের বুঝত হবে, এটা হেলাফেলা করার বিষয় না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই অসুস্থতা থেকে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলার ক্ষেত্রে তার বিরোধী শিবিরের লোকজনকেও বেশ সতর্ক থাকতে হবে। অপরদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে বরাবরই বিতর্কে থাকা ট্রাম্পের করোনা পজেটিভকে ইস্যু করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে পারেন রিপাবলিকনরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী ট্রাম্প গুরুতর অসুস্থ হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন। আর দুইজনই অসুস্থ হলে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা যাবে হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কাছে।
কেবল রাজনীতি নয়, ট্রাম্পের করোনা আক্রান্তের খবর প্রভাব ফেলেছে বিশ্বের শেয়ার বাজারেও। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রসহ জাপান, লন্ডন, প্যারিসের শেয়ারবাজারের সূচক ছিল নিম্নমুখী।