সাতক্ষীরা : রাতদিন মাদক বেচাকেনা, সেবন, চুরি আর স্ত্রীর ওপর নির্যাতন। অবশেষে সেই যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে জরুরী পুলিশ সেবার হটলাইন ৯৯৯-এ ফোন করে আব্দুল্যাহ ওরফে জয়দেব (৩৭) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী স্বামীকে গাঁজা সহ পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন তার স্ত্রী। আটককৃত আব্দুল্লাহ ওরফে জয়দেব আশাশুনির বুধহাটা গ্রামের সেবানন্দ দে’র ছেলে। হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে স্ত্রী শারমিন সুলতানাকে নিয়ে গেল কয়েক বছর ধরে দেবহাটা উপজেলার মাঝ পারুলিয়ায় মাছুম খানের ভাড়া বাড়িতে থাকতো সে। শারমিন সুলতানা বেসরকারি সংস্থা সুশীলনে চাকরি করে সংসার চালাতেন। নবমুসলিম হওয়ায় এলাকার সকলের সহানুভুতি ছিল আব্দুল্যাহ ওরফে জয়দেবের প্রতিও। প্রথমদিকে দেবহাটা থানার দু’একজন পুলিশ সদস্যের সোর্স হিসেবেও কাজ করতো সে। একপর্যায়ে পুলিশের সোর্স হওয়ার পর মানুষের সহানুভুতির এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আব্দুল্যাহ ওরফে জয়দেব জড়িয়ে পড়ে মদক ব্যবসা, সেবন, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে। দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা করে আসছিল সে। প্রতিবাদ করতে গেলে স্ত্রী শারমিনের ওপর নির্যাতন করতো সে। ইতোপূর্বে একাধিকবার ইয়াবা ও মাদকদ্রব্যসহ পুলিশের হাতে আটকও হয় আব্দুল্যাহ ওরফে জয়দেব। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় রয়েছে দুটি মামলা। সর্বশেষ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে স্বামী আব্দুল্যাহ ওরফে জয়দেবকে গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহার নির্দেশনায় পিএসআই সোলাইমানসহ পুলিশ সদস্যরা মাঝ পারুলিয়ার মাছুম খানের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ আব্দুল্যাহ ওরফে জয়দেবকে আটক করে। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর ১৯ (ক) ধারায় থানায় মামলা (নং-০৮) দায়ের শেষে আটককৃত আব্দুল্যাহ ওরফে জয়দেবকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, প্রত্যেকটি পরিবারে যদি আব্দুল্যাহর স্ত্রীর মতো এমন সচেতন মানুষ থাকে তাহলে মাদকসহ সকল অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধ করা সহজ হবে।