মোংলা (বাগেরহাট) : পিরোজপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণকারী সুন্দরবনের জলদস্যু মনজু বাহিনী ও মজিদ বাহনীর প্রধানসহ ২০ সদস্যকে মোংলা থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার পর আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের অস্ত্র ও গুলিসহ মোংলা থানায় হস্তান্তরের পর র্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। র্যাব-৮ (বরিশাল) এর ডিএডি হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পরে এসব দস্যুদের রাতেই থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধূরী এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে বেলা সাড়ে ১১টায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দিয়ে এসব জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণকারী জলদ্যুরা হলো- মনজু বাহিনীর প্রধান মো. মনজু সরদার, জুলফিকার ইজারদার, মো. বাচ্চু মলি¬ক, মো. তৌহিদুর রহমান শেখ, মো. রেজাউল ইসলাম, মো. পলাশ খান, মো. সুমায়ন ফকির, মো. জামরুল শেখ, মো. মজির ইজারদার, মো. হাওলাদার আলমগীর, মো. হানিফ শেখ। এ ছাড়া মজিদ বাহিনীর প্রধান মো. তাকবির বাগচি ওরফে মজিদ, মো. হাসান বিশ্বাস, মো. আবদুল মজিদ, মো. ইউনুছ শেখ, মো. হাফিজুল ইসলাম, মো. আফজাল খান, মো. এসকেন খান, মো. হাসান আলী ইজারদার ও মো. মোসা ইজাদ্দার। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। র্যাব জানায়, আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মোংলা, শ্যালাগাং, হারবাড়িয়া, ভদ্রা, সুন্দরবনের পশুর নদী, হারবাড়িয়া, ভদ্রা এবং পশুর নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খাল ও চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালাগাং সংলগ্ন অঞ্চলসহ বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলের বনজীবি ও জলজীবিদের জিম্মি ও নির্যাতন করে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছিল।