ক্রীড়া ডেস্ক : নারী ক্রিকেটের সব পূর্ণ সদস্যকে ওয়ানডে ও টেস্ট স্ট্যাটাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তাতে করে বাংলাদেশের টেস্ট খেলতে কোনও বাধা থাকলো না। তাদের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানও টেস্ট খেলতে পারবে।
এতদিন পর্যন্ত কেবল দশটি দল- ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের টেস্ট খেলার অনুমতি পায়।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ক্রিকেট কমিটির বৈঠক শেষে আইসিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নারী ক্রিকেটের পূর্ণ সদস্যদের স্থায়ীভাবে টেস্ট ও ওয়ানডে স্ট্যাটাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে, যখন যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে তারা প্রথমবার ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায়। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় এশিয়া কাপ ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে একবারও খেলতে না পারলেও চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশের নারীরা। শেষবার তারা বড় কোনও টুর্নামেন্ট খেলেছে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সবগুলো ম্যাচই হেরে যায় তারা।
এখন পর্যন্ত নারীদের টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৯৫ ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। তাদের পরে আছে অস্ট্রেলিয়া (৭৪), নিউ জিল্যান্ড (৪৫) ও ভারত (৩৬)। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২টি করে টেস্ট খেলেছে। পাকিস্তান খেলেছে তিন টেস্ট এবং শ্রীলঙ্কা মাত্র একটি। সহযোগী দেশ হিসেবে শুধু টেস্ট খেলে নেদারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। ২০০০ সালে আইরিশরা ডাবলিনে পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারায়। সাত বছর পর নেদারল্যান্ডস দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য ক্লাব হয় আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড।