আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : মোংলা বন্দর কর্র্তৃপক্ষের মাধবী কলোনিতে কোস্ট গার্ডের এক কর্মকর্তা বন্দরের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোস্ট গার্ডের ওই কর্মকর্তার ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ভাংচুর ও কোস্ট গার্ডের দুই সদস্য উত্তেজিত জনতার হামলার শিকার হয়েছেন। মাধবী পোর্ট কলোনীর বাসিন্দা, পথচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা লে: কমান্ডার রেদয়ান মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কলোনীর ভিতরের রাস্তায় প্রাইভেট কার চালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা বন্দরের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা জহিরুল হক ছিটকে রাস্তার বাহিরে পড়ে যান। পরে প্রাইভেটের ভিতরের থাকা কোস্ট গার্ড কর্মকর্তাকে বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালানোর বিষয়টি বন্দরের কর্মকর্তা জহিুরুল হক বলামাত্রই তিনি তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। খবর পেয়ে মোংলা বন্দরের সিবিএ’র সভাপতি মো: সাইজউদ্দিন মিয়া ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মিমাংসা করে দিলে উভয়ই চলে যান। পরে লে: কমান্ডার ৪টি গাড়ীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের নিয়ে আবারো রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দরের মাধবী কলোনিতে প্রবেশ করে বন্দরের ওই কর্মকর্তাকে খুজতে থাকেন এবং গালিগালাজ করেন। এ সময় কোস্ট গার্ড লাঠি নিয়ে আবাসিকের মধ্যে উত্তেজিত মহড়া দিলে কলোনী ও আশপাশের লোকজন এক হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে উত্তেজিত জনতা কোস্ট গার্ড কর্মকর্তার ব্যবহৃত ওই প্রাইভেট কারটিতে ভাংচুর চালায়। এতে কোস্ট গার্ডের দুই সদস্য আহত হন। পরে ঢাকায় অবস্থানরত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বিষয়টি জানার পর কোস্ট গার্ড সদস্যদেরকে ফিরে যেতে বলেন এবং তিনি এসে এ বিষয়টি দেখবেন বললে তারা কলোনীতে ছেড়ে চলে যান। কোস্ট গার্ডের এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জনতার হামলা গাড়ী ভাংচুর ও কোস্ট গার্ড সদস্য আহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বাীকার করেছেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান মেডিকেল অফিসার মো: হামিদ বলেন, জহিরুল হকের সাথে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে সিবিএর সভাপতির মধ্যস্ততায় উভয়ই দু:খ প্রকাশ করলে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেলেও কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা পরবর্তীতে কয়েক গাড়ী কোস্ট গার্ড এনে কলোনীর মধ্যে উত্তেজিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। পরে চেয়ারম্যান মহোদয়ের হস্তক্ষেপে তারা এখান থেকে চলে যান। আসলেই ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গাড়ীটি এমনভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল তাতে রাস্তার পাশে কোন জায়গা ছিল না। জায়গা না থাকায় বন্দরের ওই কর্মকর্তা লাফিয়ে রাস্তার বাহিরে পড়ে যান। বন্দরের কর্মকর্তাও জানতেন না ওই গাড়ীতে কে ছিল। এবং গাড়ীতে যিনি ছিলেন তিনি সিভিলে ছিলেন। পরে শুনেছি গাড়ীতে থাকা লোকটি কোস্ট গার্ডের অফিসার। তবে কোস্ট গার্ড অফিসারই অন্যায় করার পরও তার বাহিনীর লোকজন এনে আবাসিকের মধ্যে মহড়া দিয়ে আতংক সৃষ্টি করায় স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে যান।