ঢাকা অফিস :
দেশে আবারো বেড়েছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) গ্যাসের দাম। ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৯৯৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৩ টাকা করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, যা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
আর উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা। আগে এটি ছিল ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা।
আজ মঙ্গলবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এই সংস্থা। তারপর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি।
সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান। শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন বিইআরসির সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশেও দাম বাড়ছে। আমদানিমূল্য কমলে দেশেও কমবে।
গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজিরি দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে গণশুনানির ঘোষণা দেয় বিইআরসি। এর বিরুদ্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি স্থগিত করে দেন উচ্চ আদালত।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, শুনানির বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে কমিশনের আইনজীবীদের কাছ থেকে আইনগত মতামত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত আজকালের মধ্যে সবাইকে জানানো হবে।