বাগেরহাট : বাগেরহাটে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের শাবলের আঘাতে পল্লব কুমার বসু ওরফে সোনা (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের আফরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই দিন দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহত পল্লব বসু আফরা গ্রামের স্বপন কুমার বসুর ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক। আহতরা হলেন, নিহতের স্ত্রী সুমি রাণী বসু (২৮), ভাবী শিপ্রা রাণী বসু (৩৫) ও চাচা অরুণ বসু (৬০)। আহতদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহতের বড় ভাই পলাশ কুমার বসু দুপুরে জানায়, স্থানীয় আব্দুস সামাদ মোড়ল ওরফে সামাদ মাস্টারের সাথে আমাদের পরিবারের প্রায় আড়াই বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। আমার ছোট ভাই পল্লব বসু শাবল নিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমির সীমানার বেড়া (সীমানা প্রাচীর) ঠিক করতে যায়। প্রতিপক্ষ সামাদ মাস্টার ও তার ছেলে আজাদ মোড়ল তাতে বাঁধা দেয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে তারা শাবল কেড়েনিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। তার ডাকচিৎকারে বাড়ির অন্যরা ছুটে এলে তারা তাদেরও মারপিট করে চলে যায়। পরে স্থানীয় প্রতিবেশিরা এসে তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে আমার ছোট ভাইয়ের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে বুধবার বেলা সাড়ে এগােেরাটার দিকে মাথার অস্ত্রোপচারের সময় তার মৃত্যু হয়। বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের শাবলের আঘাতে চিকিৎসাধীন পল্লব কুমার বসু নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার ঘটনায় জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। এই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এবিষয়ে জানতে প্রতিপক্ষ আব্দুস সামাদ মোড়ল ওরফে সামাদ মাস্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।