কেশবপুর : যশোরের কেশবপুরের আঠন্ডা গ্রামের বজলুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। আসামিরা হলো এসআই মুজাহিদ, এএসআই জাহাঙ্গীর, এএসআই আশরাফুল কনস্টেবল সালাহউদ্দিন, গাড়ি চালক মজনু ও পুলিশের সোর্স বাগদা গ্রামের মৃত করিম মোড়লের ছেলে ফজলুর রহমান। অতিরিক্তি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আকরাম হোসেন অভিযোগ গ্রহন করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। বুধবার আঠন্ডা গ্রামের বজলুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার আদালত এই মামলা পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বজলুর রহমানের চার ছেলে। তিন ছেলে ভাড়ায় মোটরসাকেল চালায় এবং বড় ছেলে পুরাতন মোটরসাইকেল কেনা-বেচার ব্যবসা করে। চার ছেলের রোজগার ও কৃষি জমির উৎপাদিত ফসল দিয়ে সংসার বেশ স্বাছন্দে চলে। গত ৫ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে আসামিরা বাড়িতে এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়ির লোকজনদের ডেকে তোলে। বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক আছে বলে তারা ঘর তল্লাশি করতে চায়। এরমধ্যে আসামিরা বাড়ির সকল আলো নিভিয়ে দিতে বললে সন্দেহ হয়। এরমধ্যে তারা ঘরে ঢুকতে গেলে আয়েশা বেগম বাধা দিলে তাকে চুল ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে আসামিরা। এরপর আসামিরা বড়ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘরে ঢুকে তল্লাশী করে কোন কিছু পায়নি। আসামিরা বাড়ির চার বৌয়ের ৬ ভরি সোনার গহনা, মোটরসাকেল বিক্রির ২ লাখ ১০ টাকা ও বেশকিছু কাজগপত্র নিয়ে যায়। এসআই মুজাহিদ বাড়ির লোকজনদের শাসিয়ে যায় এ নিয়ে ঝামেলা করলে ধরে নিয়ে মামলা ও ক্রস ফয়ারের ভয় দেখিয়ে চলে যায়। পরদিন সকলে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা গ্রহন করেনি। অবশেষে আয়েশা বেগম আদালতে এ মামলা করেন।