বাগেরহাটে সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে অসহায় পিতার কান্না

প্রকাশঃ ২০২২-০৭-২১ - ২২:৫৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে সন্তান হতার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেনহতভাগা এক বাবা। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাটপ্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলার মোংলা উপজেলার সুন্দরবনইউনিয়নের বৈদ্যমারি গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারি। এসময় কান্নাজড়িত কন্ঠে বৃদ্ধ আনোয়ার ব্যাপারি তার কন্য হত্যার বিচারের দাবীজানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কান্না জড়িত কণ্ঠে আনোয়ার ব্যাপারিবলেন, প্রায় ১০ বছর আগে মোংলা উপজেলা সুন্দরবন ইউনিয়নেরগোরাবাসতলা গ্রামের সেকেন্দার শেখের ছেলে মহিদুল শেখের (৩০) সাথে পারিবারিক ভাবে আমার ছোট মেয়ে তাসলিমা বেগম (২৫) এরবিবাহ হয়। তাদের সংসারে সাব্বির (৭) নামের একটি ছেলে ও সামিয়া(৩) নামের একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় মহিদুলশেখ আমার মেয়েকে মারধর ও নানা ভাবে অত্যাচর করত। এসব বিষয়নিয়ে স্থানীয় ভাবে ও থানা পুলিশের মাধ্যমে কয়েকবার সালিস-বৈঠকওহয়েছে।তারপরও আমার জামাই ভালো হয়নি এবং পুনরায় আমারমেয়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু আমার মেয়েতার অবুজ দুটি সন্তানের কথা চিন্তা করে শত অত্যাচার নির্যাতন সয্যকরে সংসার চালিয়ে যেতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ জুলাই ২০২২ রাত৮টার দিকে একই এলাকার “মহিত ব্যাপারি” এর মাধ্যমে জানতে পারিআমার মেয়ের লাশ মোংলা হাসপাতালে পরে আছে। বিষয়টি জানারপর আমি মোংলা হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে শুনতে পারি, আমার মেয়ের লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মোংলা থানায় গিয়েদেখি আমার মেয়ের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারপিট ওআঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এসময় থানার দারোগা বাহারুলকে আমারমেয়েকে হত্যা করা হয়েছে জানাই এবং জামাই মহিদুল শেখ আটক করতেবলি। কিন্তু দারোগা বাহারুল আমার কথার কোন গুরুত্ব দেয় না।

আনোয়ার ব্যাপারি আরও বলেন, পরবর্তিতে এলাকাবাসির মাধ্যমেওজানতে পারি আমার মেয়েকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। আমারজামাই একজন মাদকসেবী ও পেশাদার জুয়া খেলোয়ার। আমি আমারমেয়ে হত্যার বিচার চাই।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,গৃহবধু তাসলিমার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে এ বিষয়ে পরবর্তিআইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।