গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে লিটল আই ডাক্তার প্রোগ্রাম সাড়া জাগিয়েছে। কিশোর শিক্ষার্থীদের চোখের দৃষ্টি শক্তি সুরক্ষায় এ প্রোগ্রাম ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। চোখের সমস্যা নিয়ে আর কোনো শিক্ষার্থীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না। চশমা বা চোখের চিকিৎসার অভাবে আর কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বন্ধ হচ্ছে না। গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চলতি বছরের মে মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ এ প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর শিক্ষার্থী শিশু-কিশোরদের দৃষ্টি শক্তি সুরক্ষায় এ প্রোগ্রাম শুরু করেন। তিনি চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে প্রতি মাসেই ওই স্কুলে যায় এবং শিক্ষার্থীদের চক্ষু পরীক্ষা করে। স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির ক্যাপ্টেন ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে দল গঠন করে চক্ষু পরীক্ষা করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারাই স্কুলের লিটল আই ডাক্তার। তারা প্রতি ১৫ দিন পরপর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চোখের দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করে সমস্যা চিহ্নিত করে। পরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে খবর দেয়। হাসপাতালের গাড়িতে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চোখের চিকিৎসা ও চশমা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীর চোখে অন্য কোনো সমস্যা থাকলে তারও চিকিৎসা দেওয়া হয়।
লিটল আই ডাক্তার জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজুল ইসলাম, নবম শ্রেণির ছাত্র দ্বীপ সাহা ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রিংকু দাড়িয়া বলে, চক্ষু হাসপাতালের এ প্রোগ্রাম চোখের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার পদ্ধতি আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে। সে পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরাই আমাদের সহপাঠীদের চোখ প্রতি ১৫ দিন পরপর পরীক্ষা করি। কারও চোখে সমস্যা পেলে তাকে হাসপাতালে পাঠাই। সেখান থেকে তারা চিকিৎসা ও চশমা পেয়ে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
লিটল আই ডাক্তার প্রোগ্রামের সংগঠক দীপক সরকার বলেন, এ প্রোগ্রামের আওতায় স্কুল শিক্ষার্থীদের লিটল আই ডাক্তার হিসেবে তৈরি করা হয়।
ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, পর্যায় ক্রমে এ প্রোগ্রাম জেলার সব স্কুলে ছড়িয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি শক্তি সুরক্ষা করা হবে।