আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ব্যাপক অনিয়ম করায় ও লেখাপড়া মানসম্মত না হওয়া অভিভাবকগণ চিন্তিত। উপজেলার মোস্তফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে দেখা যায়,সকাল ৯ টা ৪১ মিনিটে পতাকা উড়লেও বিদ্যালয়ের মুল গেটে তালা ঝুলছে। ৯ টা ৪৫ মিনিটের সময় সহকারি শিক্ষক উপস্থিত হলেন। এরপর ৯ টা ৫৫ মিনিটের সময় উপস্থিত হলেন প্রধান শিক্ষক নুরনাহার সরকার। তিনি জানালেন উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আবারো ফিরিয়ে আসলেন। বিদ্যালয়ে স্নিপের বরাদ্দ পেয়েছেন ৫০ হাজার,শিশু উপকরণ ক্রয় বাবদ ১০ হাজার,বিদ্যালয় মেরামত বাবদ পেয়েছেন ২ লাখ। প্রাপ্ত সকল বরাদ্দ দিয়ে শুধু বিদ্যালয়ের দুটি রুমে মেঝেতে টাইলস লাগিয়েছেন একটি বেসিন তৈরীতে সব বরাদ্দ শেষ করেছেন। তবে কাজের ষ্টিমিটের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশনা থাকলেও মানেনি প্রধান শিক্ষক নুরনাহার সরকার।
এরপর বিদ্যালয়ের উপস্থিত হলো কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের নিকট জানা গেলো শিক্ষার্থীরা আসেন সাড়ে নয়টা হতে দশটায় আর শিক্ষকগণ আসেন সাড়ে দশটায় ক্লাস শুরু হয় ১১ টায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন,বিদ্যালয়টিতে প্রতিনিয়ত এরকম শিক্ষকগণ দেরিতে আসেন। লেখাপড়ার মান খুব খারাপ। তারা আরো বলেন,শুধু মাত্র তদারকির অভাবে এমন বেহাল অবস্থা।
প্রধান শিক্ষক নুরনাহার সরকার বলেন,মাত্র দুই জন শিক্ষক, ২ শিফটে বিদ্যালয়টি পরিচালনা হয় যার রুটিনে সকাল ৯ টা হতে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যালয়টি দুঃখজনক ভাবে ৯ টার পর খোলা পড়েছে৷ বিদ্যালয়ের চাবি না থাকায় খুলতে দেরি হয়েছে৷
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম বলেন, বিদ্যালয় দেরিতে খোলা এবং সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের অনিয়মের ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মুঠোফোনে জানান।।