তালা প্রতিনিধি : শুক্রবার অষ্টম শ্রেনি ও এসএসসি উত্তীর্ণ দুই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই দুই ছাত্রী। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ওই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, শুক্রবার জুম’আর নামাজের পর তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে অধিদপ্তরের জেন্ডার প্রমোটর রোকসানা বিউটির নেতৃত্বে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তি শিক্ষক আসাদুল ইসলাম, সমন্বয়ক জাকিয়া আক্তার ও অফিস সহায়ক শাহিন আলমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা সেখানে গিয়ে বাল্যবিবাহ আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
নাজমুন নাহার বলেন, তিনি বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানালে স্থানীয় জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক অশোক চন্দ্র তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সদস্যরা যাওয়ার পর জেন্ডার প্রমোটর রোকসানা বিউটি কনের জন্মসনদ দেখে নিশ্চিত হন তার বয়স ১৫। তিনি বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে কনেসহ কনের মা-বাবাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন এবং মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেন।
ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধের পরে খবর আসে একই ইউনিয়নে সদ্য এসএসসি পাস করা এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের একই দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। জন্মসনদ অনুযায়ী ওই কনের বয়স ১৭। ওই ছাত্রীরও বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে তার মা-বাবাসহ তাকে ইউএনও কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন। পাশাপাশি ওই ছাত্রীর মা-বাবার কাছ থেকেও মুচলেকা নেওয়া হয়।