আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দা চলছে। অর্থনৈতিক মন্দা চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। এমন অবস্থায় সোনায় বিনিয়োগ চাহিদা বাড়ছে। এমন চলতে থাকলে বিশ্ববাজারে চলতি বছরে আউন্স প্রতি (২৮.৩৫ গ্রাম) সোনার দাম দুই হাজার মার্কিন ডলার (দুই লাখ টাকারও বেশি) ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন রোজেনবার্গ রিসার্চের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড্যাভিড রোজেনবার্গ। কিটকো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান তিনি। তার মতে, চলতি বছর সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছবে। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান ধাতুটির আউন্সপ্রতি মূল্য ১৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। গত বছরের নভেম্বরের শুরুর তুলনায় এখন পর্যন্ত সোনার দাম ১৮ শতাংশ বেড়েছে। অর্থনীতিবিদ ড্যাভিড রোজেনবার্গ বলেন, ‘এ বছরের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে যখন প্রশ্ন ওঠে তখন বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতি কতটা খারাপ হবে এবং নিজেদের সম্পদ কিভাবে রক্ষা করবেন সেটি নিয়ে চিন্তা করছেন। তারা সোনাকেই সবচেয়ে নিরাপদ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় তারা বন্ডে বিনিয়োগ করেছেন, কিন্তু ডলারের দাম এখন নিম্নমুখী। আমি দেখতে পাচ্ছি একটি মন্দা একেবারেই নিকটে। এই মন্দা ছয় প্রান্তিক থাকতে পারে। যা হবে ১৮৮০ সালের পর থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ মন্দা। রোজেনবার্গ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দার দিকে যাচ্ছে, এ অবস্থায় ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার আর সহজে বাড়াবে না, ফলে গত বছর আমরা দেখেছি ডলারের সাফল্য এবার দেখতে পাব সোনার সর্বোচ্চ দাম। ২০২৩ সাল হবে সোনার রেকর্ড দামের বছর। ২০২৩ সালে বিশ্ববাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্স চার হাজার ডলারে উঠতে পারে বলে এর আগে মন্তব্য করেন সুইস এশিয়া ক্যাপিটালের এমডি ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা জুয়েরগ কিয়েনার। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক অফ আমেরিকার বিশ্লেষকরা বলেছেন যে- ডলার দুর্বল হওয়ায় সোনার ওপর চাপ বাড়বে এবং আগামী মাসগুলোতে এটি আউন্সপ্রতি মূল্য দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। উইজডমট্রি বিশ্লেষক নীতেশ শাহ জানান, বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম সহজেই আউন্সপ্রতি ২১০০ ডলার ছাড়াবে।