খালিশপুর সুপার মার্কেট নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-২৪ - ১২:৪৯

বিজ্ঞপ্তি : আবারো খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। তবে তারা এবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১২ সালের জুন মাসে মার্কেটের কাজ শেষ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পটি বাতিল করে বিএমডিএফ। ওই সময় তারা মার্কেটের বেজম্যান্ট ও ছাদ ঢালাই সম্পন্ন করে। তাতে খরচ দেখানো হয় প্রায় আট কোটি টাকা। ওই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৯ কোটি ৫২ লাখ ৩৪ হাজার ৭১৩ টাকা।

বর্তমানে বাকী কাজ সম্পন্ন করতে কোভিড-১৯ প্রকল্পের ডিপিপি অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। সিআরডিপি-২ উপ-সহকারি প্রকৌশলী এমরান আহমেদ খান জানান, বাকী দেড় কোটি টাকার মার্কেটের গ্রান্ড ফ্লোর পুরো কমপ্লিট বেজম্যান্টের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা হবে। একতলা ছাদ কমপ্লিট করা হবে। এছাড়া মার্কেটে বৈদ্যুতিককরণ ও পানি সরবরাহ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

কেসিসির তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী মো: মশিউজ্জামান খান বলেন, পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের মার্কেটটি গ্রান্ড ফ্লোর করা হলেও তা অসমাপ্ত রয়েছে। এছাড়া মাকের্টের একতলা কমপ্লিট করা হবে। চলতি মাসেই দরপত্র আহবানের পরিকল্পনা রয়েছে। বাকী কাজ সম্পন্ন করতে আরো চার কোটি টাকা লাগবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যেই মার্কেটের কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী তালাত হোসেন কাউট বলেন, মেয়র মার্কেকটি পূণরায় নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। শিগগিরই টেন্ডার আহবান করা হবে। তবে মার্কেটের উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে তিনি জানান।

মার্কেটের সাধারণ কাঁচামাল বিক্রেতা ফারুখ হোসেন দুলাল হাওলাদার জানান, বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে তারা পূর্ণবাসনের আশায় রয়েছে। মার্কেট ভাঙ্গার সময় এক বছরের মধ্যে পূর্ণবাসনের আশ্বাস দেয়া হয়। বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী পেশা ছেড়ে দিয়েছে। তাদের ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা কেউ ভ্যান-রিক্সা চালিয়ে জীবন জীবিকা পরিচালনা করছেন। অবিলম্বে মার্কেটের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের পূর্ণবাসনের জোর দাবি জানান তিনি।

পৌর সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সা: সম্পাদক রাফেল ফেরদৌস রানা বলেন, নির্মানাধীন মার্কেট থেকে উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীরা গিঞ্জি পরিবেশে সড়কের ওপর কাপড়ের ছাউনী দিয়ে কোন রকম ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তাদের দুদর্শার যেন শেষ নেই। মার্কেটের তিন থেকে সাড়ে তিনশত ব্যবসায়ী আজ পথে পথে ঘুরছে। তারা পুঁজি হারিয়ে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। মার্কেট পূণরায় নির্মাণের উদ্যোগে তিনি সিটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে মার্কেটের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জোর দাবি জানান এই নেতা।

পৌর সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, উচ্ছেদের সময় ব্যবসায়ীদের এক বছরের মধ্যে পুনর্বাসনের আশ্বাস দেয়া হলেও প্রায় চার বছরেও সে আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি না থাকলেও স্থানীয় একটি মহলের কারণে মার্কেটটি নির্ধারিত সময় নিরর্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এ জন্য আজ ব্যবসায়ীরা খুবই কস্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন। এ চক্রের ব্যর্থতা আর দুর্নীতির কারণে মেয়র কেসিসির একজন সহকারি প্রকৌশলীকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত পর্যন্ত করেন। তারপরও তিনি শত চেষ্টা করেও মার্কেটটি নির্ধারিত সময় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। তারপরও তিনি এ ব্যবসায়ীদের কস্টেও কথা মনে করে আবারো প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ জন্য তিনি নগর পিতাকে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন হয় সে জন্য তিনি মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।