তালায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-২৪ - ১৩:১৭

তালা প্রতিনিধি : তালায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে রাসেল বাদশা (২২) নামের যুবকের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য মইনুল ইসলামের ছেলে এবং মাগুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো দশম শ্রেণির ঐ ছাত্রীর। দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের কথা বলে গড়িমসি করছিলো রাসেল। প্রেমের একপর্যায়ে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই তরুণী। সেজন্য গত শুক্রবার বিকালে তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে ওই প্রেমিকা। রাসেল বাদশার অভিভাবকরা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠানো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তীতে রাতে তালা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ মেয়েকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং: ১৩, তারিখ: ২১/০১/২৩খ্রি:।

অনশনরত তরুণী জানান, এক বছর ধরে রাসেল বাদশার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। বর্তমানে সে দুই মাসের অন্ত:সত্ত্বা। বারবার বিয়ের করবে বলে আশ্বাস দিয়েও বিয়ে করেনি। বিয়ের বিষয়টির সুরাহা না করা পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়ি থেকে যাবে না বলে ঠিক করে। পরে পুলিশ তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে। এ সময় রাসেলের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। যার

মামলার তদন্তকারী অফিসার তালা থানা পুলিশের এসআই ইমন হাসান জানান, আসামী রাসেল বাদশাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে ঐ যুবকের পিতা মাগুরা ইউপি সদস্য মো: মইনুল ইসলাম জানান, ‘আমার ছেলে যদি দোষী হয় তার সাথে ঐ মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’

তালা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিলন রায় জানান, রাসেল মাগুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। আসামী রাসেল বাদশাকে আটকের চেষ্টা চলছে।