যশোরে চেয়ারম্যান বাবুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-২৫ - ১৩:১২

যশোর অফিস : বাঘারপাড়ার নারিকেল বাড়িয়ার চাঁদবাজি ও তনিমা গার্মেন্টস এন্ড বস্ত্রালয় ভাংচুরের অভিযোগে চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে তানিয়া গার্মেন্টস এন্ড বস্ত্রালয়ে মালিক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে বাঘারপাড়ার এসিল্যান্ডকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী ব্যাস্টিার কাজী রেফাত রেহওয়ান সেতু।

আসামিরা হলো, নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মৃত রামকৃষ্ণ সাহার ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা, অমর কৃষ্ণ সাহা ও তার ছেলে অনুপ কুমার সাহা, রবিন সাহার ছেলে রিপন সাহা ও ক্ষেত্রপালা গ্রামের ইসহাক বিশ্বাসের ছেলে জামিল হোসেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মেহেদী হাসান নারিকেলবাড়িয়া বাজারের কাপুড়িয়াপট্টি গলিতে সরকারী জায়গায় ১৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১১ ফুট প্রস্থের একটি সেমিপাকা টিনির ঘরে ১৫ বছর ধরে তনিমা গার্মেন্টস এন্ড বস্ত্রালয় নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে শুনামের মাধে ব্যবসা করে আসছেন। আশেপাশে আরও অনেকেই একই ভাবে প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করছেন। প্রশাসন এ জায়গা ব্যবসায়ীদের বন্দোবস্ত দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে বাঘারপাড়া ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার এসে মেহেদীর ঘরের শুন্য দশমিক ৫ শতক জমির বন্দবস্তো দেয়ার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

এ সংবাদ জানতে পেরে চেয়ারম্যান ২০২২ সালের ২০ মে সকালেে আসামিদের সাথে নিয়ে মেহেদীর কাছে এসে দোকানের বন্দোবস্ত নেয়ায় তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় তার দোকান আসামি অমর ও অনুপের দখলে দিয়ে দেয়া হবে বলে চেয়ারম্যান হুমকি দেন। মেহেদী উপায় নায়ে চেয়ারম্যানকে ৮৫ হাজার টাকা চাঁদা দেন। চাঁদার বাকি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা না দেয়ায় ওই বছরের ১৯ জুন মেহেদীর দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। পরে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করলে তারই নির্দেশে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে দোকানের তালা খুলে দেন। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় চেয়ারম্যান বাবুলের নেতৃত্বে এজাহারনামীয় আসামিসহ অপরিচিত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মেহেদীর দোকানের তালা ও সাটার ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে। এরপর দোকান থেকে নগদ ৬৩ হাজার টাকা ও ২০ লাখ টাকার কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। একই সাথে দোকানের পেছনের দেয়াল ভেঙ্গে আসামি অমর ও অনুপের দোকানের সাথে যোগ করে দেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।