কচুয়া প্রতিনিধি : কচুয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দ্দেশনা উপেক্ষা করে ভূমি উন্নয়ন কর নিচ্ছেনা তহশীলদার, রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। উপজেলার রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাধাল বাজারের বানিজ্যিক খাজনা না নেওয়াসহ নামপত্তন কেসের প্রতিবেদনের জন্য ২ হাজার টাকা ও তামিলের জন্য ৫শ’ টাকা না দিলে কাজ করেন না এমন অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার বাধাল বাজারের ব্যবসায়ী সমীর কুমার সাহা জানান, অনলাইনে আবেদন করে হালনাগাদ খাজনা পরিশোধের জন্য রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে সহকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মোটা অংকের অর্থ দাবি করে। তার দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় খাজনা নেয়নি। নামপত্তন কেসের প্রতিবেদনের জন্য ২ হাজার টাকা ও তামিলের জন্য ৫শ’ টাকা না দিলে কাজ করেন না বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে সমীর কুমার সাহা জেলা প্রশাসক বরাবর ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার জন্য আবেদন করেন উক্ত আবেদনে পর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আনোয়ারুল হকের তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, উপজেলার বাধাল ১একর ৪০ শতক জমি মধ্যে হতে জতিন কুমার দাসের নিকট হইতে বিআরএস ৬৩৫ নং খতিয়ানে ১৪৯৬ দাগে ১ শকত জমি ক্রয় করে ৩৩১/২০১৫-১৬ নামজারি করে বাংলা ১৪২৮সন পর্যন্ত বানিজ্যিক হারে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে ভোগ দখলে আছেন সমীর কুমার সাহা। জায়গাটি বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সন্নিকটে অবস্থিত। এসএ ও বিআরএস রেকর্ড অনুযায়ী সরকারি কোন স্বার্থ দেখা যায় না। বাধাল বাজারে পেরিফেরি জায়গা হতে কিছুটা দূরে থাকায় ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে বিবেচনা করা যেতে পারে। সার্ভেয়ারের প্রতিবেদন অনুছাইী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (রাজস্ব) থেকে ১৪ নভেম্বর ২২ তারিখের ৯১২ স্বারকে ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলেও অদ্যবদি ভূমি উন্নয়ন কর নেয়নি ওই কর্মকর্তা।
রাড়িপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলামের নিকট এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদউত্তর না দিয়ে বলেন, আমাদের কাছে চিঠি আছে, বাধাল বাজারের ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়া যাবে না এবং জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী অফিসার ভূমি উন্নয়ন কর নিতে বলেনি তানারা বলেছে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে। নামপত্তনের প্রতিবেদন ও তামিলের বিষয়টি সঠিক না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: তাসমিনা খাতুন বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যাদের এরকম সমস্যা আছে তানরা আমার কাছে আসলে কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।