খুলনা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের বিশিষ্টজন নিয়ে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
তিনি শনিবার খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন। নগরীর কেসিসি মার্কেটের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে না কেন? এতো টাকা গেল কোথায়? যদি চুরি না করে থাকেন তাহলে সংসদে আইন পাস করলেন কেন? চুরি করছেন, সেই চোরের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না।
তিনি বলেন, সংবিধান জনগণের জন্য, সংবিধান দেশের জন্য, সংবিধান কোনো চোরের জন্য না। সংবিধান কোনো লুটেরার জন্য না। এজন্য বলেছি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা সংবিধান পরিবর্তন করব। পুরোটা না করি, কিছু কিছু আমাদের পরিবর্তন করতে হবে।
সমাবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সবার অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারা দেশব্যাপী পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এ আন্দোলন কর্মসূচি সরকারের বিরুদ্ধে এক দফার আন্দোলন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ক্ষমতা ছাড়া তারা কিছু ভাবতে পারে না। ক্ষমতার জন্য তারা জন্মেছে, ক্ষমতার জন্য মরবে। আমরা যদি ঘুরে দাঁড়াই, তারা বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। ১৪ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছেন আপনারা। এই সরকারের সময় বেশি নেই।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেদী আহমেদ রুমী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক সোহরাব উদ্দিন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা বিএনপির আহবায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও মহানগর যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন।