পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যার হুমকি

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-০৫ - ১৫:৩০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জমি ক্রয়ের পর বিক্রেতার দলিল ভূয়া প্রমানিত হওয়ায় টাকা ফেরত চাওয়ায় ক্রেতার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও খুন জখমসহ হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত শেখ মোনায়েম হোসেনের পুত্র শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের ২৪ আগস্ট দহাকুলা মৌজায় ০৩ ১/৩ শতক সম্পত্তি আমার স্ত্রী আনজুয়ারা বেগমের নামে ক্রয় করা হয়। এছাড়া ২০১৯ সালে রমজান বিশ^াস এবং তার পুত্র রফিকুলের কাছ থেকে ৭৯৮৮ নং দলিলে আমি নিজ নামে ০১১/২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। কিন্তু জমিতে যাওয়ার চেষ্টা করলে রমজান আলী ও রজব আলীর ওয়ারেশগণ বাধা সৃষ্টি করে। সে সময় আমরা আদালতের শরন্নাপন্ন হয়ে জানতে পারি জমি বিক্রেতা রমজান বিশ^াস ও রজব আলী বিশ^াস, উভয় পিং- মরহুম মাদার বিশ^াস ১৫ মে ১৯৬৫ সালে ২২৬৫ নং রেজিষ্ট্রিকৃত কোবলামূলে যে সম্পত্তি কালিপদ ঘোষ, পিং- রামচন্দ্র ঘোষের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন উক্ত দলিল ভূয়া তঞ্চকী এবং অকার্যকর।

এছাড়াও ২৯২৩ দাগে আনজুয়ারার নিকট যে সম্পত্তি বিক্রয় করেছেন সেটিও দলিল ভূয়া তঞ্চকী এবং অকার্যকর। জমিতে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর আমরা রমজান আলীর ওয়ারেশ রফিকুলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাকেসহ আমার সন্তানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং সিআর ৩৭১/১৯। উক্ত মামলাটির কোন সত্যতা না পেয়ে গত ১৭ আগস্ট২০২২ তারিখে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উক্ত মামলার সকল আসামীকে খালাস প্রদান করেন। কিন্তু এরপর আমাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত না দিয়ে আমাদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন রফিকুলের ভাই নুর ইসলাম।

এমনকি আবারো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা গরিব অসহায় এবং অশিক্ষিত হওয়ায় রফিকুল ও তার পিতা প্রয়াত রমজান আলী আমাদের ভূয়া দলিলের সম্পত্তির জন্য টাকা গ্রহণ করে ও রেকর্ড করে দেয়। কিন্তু যে সম্পত্তি মূল দলিলই ভূয়া সে সম্পত্তি আমাদের পাওয়ার সুযোগ না থাকলেও রফিকুল এবং তার ভাই নূর ইসলাম সেটি না মেনে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনি রফিকুল এবং নুর ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।