হরিণ শিকারীরা আবারো বেপরোয়া

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-১৯ - ১৪:৫২

খুলনা : হঠাৎ সুন্দরবনে বেড়েছে হরিন শিকারীদের অপতৎপরতা। বনের আশপাশ এলাকার শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে নিয়মিত হরিণ শিকার করে গোশত ও তার চামড়া বিক্রি করছে। গত কয়েকদিনে ১০ হরিণ শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৬ কেজি হরিণের গোশত, চারটি চামড়া. হরিণ ধরা ফাঁদ, ২০ রাউন্ড গুলি ও একটি ট্রলার। পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলার সোনাতলা, পানিরঘাট, রাজাপুর, রসুলপুর, মোড়লগঞ্জের জিউধরা, পাথরঘাটা, চরদুয়ানী, ঘোনাপাড়া এলাকার শিকারীরা ব্যবসায়ীক উদ্দ্যেশে জেলে সেজে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে নিয়ে আসে। অনেক চোরাশিকারীরা আবার গোপনে সুন্দরবনে ঢুকে হরিণ শিকার করে রামপাল সাতক্ষীরা এলাকার কিছু জেলে। এছাড়া সুন্দরবনের সুপতি, দুবলা, কটকা, কচিখালী, বাদামতলা, চাদেশ্বর, টিয়ারচর, কোকিলমুনি, আন্ধারমানিকসহ গভীরবনে সুবিধাজনক স্থানে লাইলনেসর ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে থাকে। তারা মাছের ভেতরে বরফ দিয়ে সুবিধাজনক সময়ে লোকালয়ে হরিণের গোশত পাচার করে থাকে। প্রতিকেজি হরিণের গোশত ৮০০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় শিকারীরা নিয়মিত হরিণ শিকার করে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বনরক্ষীদের হাতে দু’চারটি হরিণ পাচারের ঘটনা ধরা পড়লেও শিকারীরা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে খুব সহজেই বেরিয়ে আসে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন বিভাগ সূত্র জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ইসহাকের চিলা এলাকা থেকে ২০ কেজি হরিণের গোশতসহ একটি ডিঙ্গি নৌকা আটক করা হয়। এ সময় চোরা শিকারীরা পালিয়ে যায়। ২৭ জানুয়ারি দুবলার জামতলা আলোরকোল থেকে হরিণের গোশত ও ফাঁদসহ পাঁচ হরিণ শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। আটক নওরেশ, প্রদীপ, রাজিব, ইউনুস ও ইদ্রিস রামপালের শ্রীফলতলা গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৫ জানুয়ারি সুন্দরবনের নীলকমল এলাকা থেকে ২০ কেজি হরিণের গোশত ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ পাথরঘাটার হিরো আকন নামের এক শিকারীকে আটক করে বন রক্ষীরা। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন থেকে ডিঙ্গি নৌকা , হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করে বন বিভাগ। সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ইসহাকের চিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি বনরক্ষীরা।