আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়া ও তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১২ দিন পর মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে আর কর্মকর্তারা বলছেন ৮৪ হাজার বহুতল ভবন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর মধ্যে কিছু ভবন এখনি ভেঙে ফেলা দরকার নয়তো ভেঙে পড়বে।
তুরস্ক আধুনিক যুগের সবচেয়ে খারাপ দুর্যোগটি মোকাবিলার চেষ্টা করছে, তবে সিরিয়ার ভূমিকম্পপীড়িত ভূক্তভোগীদের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছেই। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাধা তৈরি না করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষের উপর এখনও চাপ সৃষ্টি করছে।
এদিকে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৬৪২ জনে আর প্রতিবেশি সিরিয়ায় মারা গেছেন ৫ হাজার ৮০০ জন। যদিও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যাটি কয়েকদিন আগের আর তা পরিবর্তন হচ্ছে না।
অন্যদিকে, তুরস্কে এখনও চলছে উদ্ধার তৎপরতা। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কিরগিজস্তান থেকে আসা একদল উদ্ধারকর্মী দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় আনতাকিয়া শহরের বিধ্বস্ত ভবনের আবর্জনার ভেতর আটকে পড়া একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। তারা একটি শিশুসহ তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বাবা, মা বেঁচে গেলেও দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা। পানিশূন্যতায় মারা যায় ওই দুই শিশু।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পের সময় জন্ম নেওয়া শিশুটিকে তার খালা ও মামার কাছে দেওয়া হয়েছে। শিশুটি বেঁচে গেলেও মারা যায় তার বাবা-মা ও ভাইবোন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই শিশুটিকে উদ্ধারের ফুটেজ ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় ভেঙে পড়া আবর্জনার পাহাড়ের ভেতর থেকে ধীরে ধীরে উদ্ধারকর্মীরা শিশুটিকে বের করে নিয়ে আসছেন।
তবে এতো ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে চিকিৎসকরা ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় রোগবালাই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। আর এর প্রধান কারণ ওই সব এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোকা জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে এমন রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।